ম্যালেরিয়া রোগে সিঙ্কোনার অভাবনীয় সাফল্য দেখে এলোপ্যাথিতে এম.ডি. ডিগ্রী প্রাপ্ত জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি আবিষ্কার করেন, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয় ১৭৯৬ সালে। তারপর পৃথিবীর দিকে দিকে হোমিওপ্যাথি ছড়িয়ে পড়ে। শত শত বছর জুড়ে সংক্রামক রোগের মহামারী সহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি দেখায় তার অসাধারণ কার্যকারিতা, অভাবনীয় সাফল্য। আবেদন তৈরি করে সারা বিশ্বে। বিকল্প ধারার চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে অর্জন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি। আমাদের উপমহাদেশে হোমিওপ্যাথি আসে মাত্র ১৪ বছর বয়সে, ১৮১০ সালে। এদেশে ক্রমে প্রতিষ্ঠা হয় হোমিওপ্যাথির শিক্ষা বোর্ড, কাউন্সিল, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সৃষ্টি হয় হোমিওপ্যাথির উচ্চশিক্ষা শিক্ষা কোর্স। অনেকেরই স্বপ্ন, হোমিওপ্যাথি শেখা। ইচ্ছা, একজন আদর্শ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার, আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় সৃষ্টি মানুষের সেবা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার। কিন্ত আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, মডার্ণ মেডিকেল কলেজ সহ শিক্ষা ব্যবস্থার আরো শাখা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভর্তিচ্ছুদের জানার সুযোগ যতটা বেশি, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের লেখাপড়া সম্পর্কে জানার সুযোগ যেন ততটাই কম। একই অবস্থা ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার ক্ষেত্রেও। এক্ষেত্রে ভর্তিচ্ছুদের জন্য নির্ভরতার জায়গা BHMS, BUMS, BAMS এর সিনিয়র ভাইয়া-আপু আর ডাক্তাররা। কিন্ত সিনিয়রদের অনেক আন্তরিক সহযোগিতার পরও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক ভর্তিচ্ছুক সাধারণ ছাত্রের লেখাপড়া সংক্রান্ত অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানাই থেকে যায়। ফলে অনেকের পক্ষেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ভর্তিচ্ছুক ভাই-বোনদের হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতের মুঠোয় জন্য পৌঁছে দিতে এসেছে “BHMS সম্পর্কে জানতে চাই...” ই-বুক। এই ই-বুকে উঠে এসেছে হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিচিতি, লেখাপড়া, ক্যারিয়ার, উচ্চশিক্ষার কথা। ঘটেছে, কোর্স সমূহের পরিচিতি থেকে শুরু করে অরিয়েন্টেশন ক্লাস পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুদের দেড় শতাধিক প্রশ্নোত্তরের সমাবেশ। সংকলিত হয়েছে, মেডিকেল ফিকহ, ইসলামিক মেডিকেল এথিকস বা ইসলামি চিকিৎসা নীতি, চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান, মুসলিম চিকিৎসকের উদ্দেশ্য, দায়িত্ব-কর্তব্য ও দায়বদ্ধতা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলিম নারীদের ভূমিকা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আরো সংকলিত হয়েছে দশক ধরে চলতে থাকা ইসলামি জাগরণের ফলে নীড়ে ফিরতে থাকা ভাই-বোনদের খেদমতে সহশিক্ষা ব্যবস্থায় পড়া, পারিবারিক বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত এক গুচ্ছ মূল্যবান কথা।