বি এম আতিকুজ্জামানের সঙ্গে আমার পরিচয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। সে ছাত্র, আমি অধ্যাপক। তখন থেকে তার প্রতিভার স্ফূরণ দেখে আমার মনে হয়েছিল এই ছেলে একদিন জগতজোড়া খ্যাতি অর্জন করবে, আর বাস্তবে হলোও তাই। ছোটবেলা থেকে লেখালেখি, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একনিষ্ঠ কর্মী, আলোকিত মানুষ হবার বাসনা যা স্বপ্ন ছিল তার একদিন, তা আজ বাস্তব। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে লেখা-পড়ায় ভালো এই ছেলেটি সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গণে ছিল অনন্য, ছিল রাজনীতিতে তুখোড়। আতিক নজর কাড়ে সবার। ও এমন একজন, যাকে ভিড়ের মধ্যে চেনা যেত আলাদাভাবে। এরপর তার শুধু এগিয়ে যাওয়া, দেশে বিদেশে উচ্চশিক্ষা। অবশেষে আমেরিকাতে স্থায়ী হয় আতিক। এখন পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমেরিকাজোড়া নাম তার। সেখানকার বাঙালিদের মধ্যে, বাঙালি চিকিৎসকদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় হয়ে ওঠে সে ধীরে ধীরে। আমেরিকা ও বাংলাদেশের চিকিৎসা-শিক্ষার মধ্যে একটি সুসম্পর্ক স্থাপন ও জ্ঞানের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও ক্রমেই সে পৌঁছে যাচ্ছে পথিকৃৎ পর্যায়ে। এত ব্যস্ততার ভেতরও সব সময় সরব তার কলম। তার কলমে, তার লেখায় সুনিপুনভাবে উঠে আসে সমাজের নানা চালচিত্র। মানুষ ও যাপিত জীবন তার লেখায় ধরা দেয় দারুণ বাস্তবতায়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রথম বই হিসেবে তার লেখা ‘অরলান্ডোর চিঠি’ হবে সবার জন্য রুদ্ধশ্বাসে পড়ার মতো একটি বই। বইটি পড়লেই আমার সাথে একমত হবেন। - অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী