১২ বছর বয়সী ক্রিসপিনের বয়স যখন ৯ বছর, তখন থেকেই রাস্তাঘাট তার ঘরবাড়ি। নিজের বুদ্ধিদীপ্ততা, সাহসিকতা আর বন্ধুর মাঝে একমাত্র ওই বোবা কুকুর হার্লিকে সাথে নিয়েই তার জীবন। পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে একটা জায়গায় খুব বেশিদিন ঘুরঘুর করে না সে। সবসময়ই ছোটাছুটির মাঝে থাকে। কিন্তু তাও, কিছু জায়গা আছে যেখানে ক্রিসপিন ফিরে ফিরে আসে। এই কোলাহলপূর্ণ শহরের মাঝে ওগুলো নির্জন আশ্রয়স্থল তার জন্য। সেইন্ট মেরি স্যালোম সমাধিসৌধের মতো নিশ্চুপ শহরতলী আছে, যেখানে অতীতের ভীতিকর স্মৃতিগুলোর তাড়িয়ে বেড়ানো থেকে কিছু সময় নিজেকে শান্ত আর নিরাপদ বোধ করে ক্রিসপিন। কিন্তু তার স্বপ্নই শুধুমাত্র ভীতিকর নয়। হার্লিকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এই শহরেরও আছে কিছু রহস্য আর একান্ত কিছু গল্প, যা ব্যাখ্যাতীত। রাতের নিষ্প্রাণ আঁধারে ক্রিসপিন ভুত দেখেছে আর ঝলকানো দিনের আলোয় পেয়েছে নানানরকম বিপদের গন্ধ। তার অস্তিত্বের কিনারাতে খুটখুট করে কামড় বসায় গোলমেলে আর অদ্ভুত নানান জিনিসের ইঙ্গিত। বিপদসংকুল ছায়া বারবার মাড়িয়ে যায় তার পথ। সম্পূর্ণ একা, ভাসমান অবস্থায় চরে বেড়ানো- কোন জীবন হতে পারে না এমন একজন কিশোরের জন্য। কিন্তু যে অবর্ণনীয় জীবন ক্রিসপিন ফেলে রেখে এসেছে এবং তা থেকে নিস্তার পেতে ছুটছে, হয়তো সে জীবনই আবার আঁটকে ফেলবে তাকে। ক্রিসপিনের এই দুনিয়াতে আছে আরো অনেককিছু। এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলিং লেখক ডীন কুন্টজের মেরুদণ্ড দিয়ে শীতল স্রোত বইয়ে দিতে পারার মতো এই গল্পে, সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন মোড়গুলোর সাথে পাঠকের মুখোমুখি হওয়া এখনো বাকি।