‘অরণ্য আঁধারে’ বইয়ের কথাঃ কিছু সাধারণ মানুষের অসাধারণ স্বপ্ন আর আশা-হতাশার জীবনালেখ্য এ উপন্যাস। মূল চরিত্র হাসিব আর মিতি অদ্ভুত এবং আশ্চর্য সুন্দর এক দম্পতি। ক্ষণে ক্ষণে এই ঝগড়া তো এই কাঁচভাঙা হাসিতে চারদিক চৌচির করে দেয়া। ছেলেমানুষি স্বভাবের হলেও বাস্তবতা থেকে মোটেও পালিয়ে বেড়ায় না ওরা। প্রবল প্রত্যয়ে মোকাবিলা করে যেকোনো পরিস্থিতি। যে করেই হোক স্বপ্নটাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য ওদের নিরন্তর খেটে যাওয়া। শুধু নিজেদের নিয়েই ব্যতিব্যস্ত নয় ওরা। ওদের দেখে যারা উদ্বুদ্ধ হয়েছে, রাজধানী থেকে দূরে এ গ্রামে এসে বসতি গড়েছে, তাদেরও বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করে ওরা। প্রকৃতির নিবিড় ছায়ায় দিনে দিনে পাওয়ায় রূপান্তরিত হচ্ছিলো ওদের চাওয়াগুলো। কিন্তু হঠাৎই ঈশান কোণে জমে উঠলো মেঘ। পৈশাচিক উন্মাদনায় নাচতে শুরু করলো বৈরী হাওয়া। ... তারপর কী হলো? কী হলো হাসিব আর মিতির? অন্য মানুষগুলোর? কী হলো ওদের স্বপ্নের? শেষ পর্যন্ত ওরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিলো? সহজ সরল ভাষায় ছোটো ছোটো বাক্য আর তাতে মিশে থাকা প্রবল রসবোধ- এই হচ্ছে কথাসাহিত্যিক হাসান মোস্তাফিজুর রহমানের লেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। অত্যন্ত ঝরঝরে ভাষায় বলে যান তিনি, যা সব বয়সী পাঠককে আকর্ষণ করে টেনে নিয়ে যায় লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। ভিন্ন স্বাদের একটি আশ্চর্য গতিশীল উপন্যাস অরণ্য অাঁধারে। পাঠককে শুধু নিজের জন্য নয়, সবাইকে নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাবে এ উপন্যাস।
সহজ সরল ভাষায় ছােটো ছােটো বাক্য আর তাতে মিশে থাকা প্রবল রসবােধ- এই হচ্ছে কথাসাহিত্যিক হাসান মােস্তাফিজুর রহমানের লেখার অন্যতম প্রধান। বৈশিষ্ট্য। অত্যন্ত ঝরঝরে ভাষায় বলে যান তিনি, যা সব বয়সী পাঠককে আকর্ষণ করে টেনে নিয়ে যায় লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত । ঢাকায় জন্মগ্রহণ আর বড়াে হওয়া এই কথাসাহিত্যিক পড়াশােনা করেছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে। এর আগে অবশ্য সিভিল এঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াশােনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু একসময় বড় একঘেয়ে আর রসকষহীন মনে হয়েছিলাে রড-সিমেন্ট-ইট-বালির ওই লেখাপড়া । ফলে কোর্স প্রায় অর্ধেক সাফল্যের সঙ্গে শেষ করেও ছেড়ে দেন শুধুমাত্র ভালাে না লাগার কারণে! লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত বেশ অনেকদিন ধরে । হাতেখড়ি বিখ্যাত ও জনপ্রিয় সেবা প্রকাশনীতে লেখার মাধ্যমে। উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ, রম্যসঙ্কলন মিলিয়ে গ্রন্থসংখ্যা চৌত্রিশ। বেকু মামা তার ভীষণ মজার নতুন এক চরিত্র। গত বইমেলায় এ চরিত্রটিকে পাঠকের কাছে হাজির করেন তিনি- যা অভাবনীয় সাড়া ফেলেছে পাঠকসমাজে। ইতােমধ্যেই ছােটো-বড়াে সব ধরনের পাঠকের। অন্যতম প্রিয় এক চরিত্রে পরিণত হয়ে গেছে বেকু মামা। আর তাই নিরলস কাজ করে চলেছেন তিনি এ চরিত্রটি নিয়ে। ইচ্ছে রয়েছে বহুদূর যাওয়ার । এবারের বইমেলায় বেকু মামাকে নিয়ে দ্বিতীয় গ্রন্থটি প্রকাশিত হলাে। লেখকের কর্মজীবনের শুরু সাংবাদিকতা দিয়ে । মহান এ পেশাতেই থাকতে চান আজীবন। বর্তমানে জাতীয় একটি দৈনিকে সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। সুন্দর আর দুর্গম জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ভালােবাসেন তিনি। বিশেষ করে প্রিয় বন্ধুদের দল নিয়ে অবসরে ডুবে থাকেন দেশি-বিদেশি গল্প-উপন্যাসে, টিভি চ্যানেলগুলাের নিউজ, টক শাে, ভ্রমণবিষয়ক অনুষ্ঠান আর প্রামাণ্যচিত্রে। স্বপ্ন দেখেন বাংলা সাহিত্যের বিশাল জগতে নিজের ছােট্ট একটি ঠিকানা তৈরি করার।