সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার যিনি আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন, তার পথনির্দেশনা ব্যতিত কেউ সঠিক পথ খুঁজে পেতে সক্ষম হয়। । আল্লাহর দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হােক আম্বীয়া এবং মুরসালিন ও মানব জাতীর সর্বশ্রেষ্ট ইমাম হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সা.) ও তার নিস্পাপ এবং পবিত্র আহলে বাইত (আ.)-এর উপর। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে www.al-islam.org-এ সাইয়্যেদা ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)-এর জীবনী যা মাসুমা জাফর-এর লেখাটি আমাকে গভীর ভাবে আকৃষ্ট করে, কারণ মহান ইমামদের হাদিস মতে তাঁর যিয়ারত সাইয়্যেদা ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বিকল্প বা অনুরূপ হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে যা আমাকে তার ব্যক্তিত্বের প্রতি জানার আগ্রহ সৃষ্টি করে, আর সেই জন্যে আমি চিন্তা করি যে তার পবিত্র জীবনী বাংলায় অনুবাদ করলে কেমন হয়! কারণ আমার জানা মতে বাংলা ভাষায় সেই ধরণের কোন গ্রন্থ নাই যা হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)-এর জীবনী সম্পর্কে একটা মােটামুটি ধারণা দেয়। ইংরেজী বইটির লিংক- www.al-islam.org/lady-fatima-masuma-qummasuma-jaffer তখন আমি হযরত ফাতিমা বিনতে মুসা আল কাযিম (আ.)-এর জীবনীর একটি অংশ বাংলায় অনুবাদ করে আমার ফেসবুক আই.ডি-তে পােস্ট করি। পরবর্তীতে পােস্ট খানা শ্রদ্ধেয় শাহবাজ আহম্মেদ ভাইয়ের কাছে পাঠালে তিনি তা বই আকারে ছাপানাের পরামর্শ দিয়ে আমার সাথে আলােচনা করেন। আমি হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)-এর জীবনীর বাকী অংশ ‘মাসুমা জাফর ও অন্যান্য সূত্রে প্রাপ্ত বাংলা অনুবাদের কাজ সম্পূর্ণ করি। হযরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)-এর জীবনী সংক্রান্ত বাংলা অনুবাদটি আমার প্রতি সেই মহিয়সী পবিত্র নারীর সুদৃষ্টি এবং তার প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধার ফসল। ইমাম আলী ইবনে মুসা আর-রিদ্বা (আ.) ও তাঁর সম্মানিত বােন হজরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.)-এর সাথে সংযােগ আমাকে তাদের উল্লেখযােগ্য আন্দোলন এবং হিজরতের স্মরণ করিয়ে দেয়। তাদের আন্দোলন ইসলামের ইতিহাসে গঠনমূলক এবং উল্লেখযােগ্য ঘটনা ছিল। নিঃসন্দেহ হজরত ফাতিমা মাসুমা (সা.আ.) কুমের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটা অনস্বীকার্য যে, তিনি এই ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় নগরীর বিশিষ্টতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বিভিন্ন শহরের মধ্যে দিয়ে যাত্রার।