মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি ছিলাম তেরো বছরের কিশোরী। ‘মা আমি আমরা আর ১৯৭১’ লেখাটি একজন কিশোরীর নয় মাসের অনুভব। আমি এই মহান যুদ্ধের কথা আমার পরবর্তীকালে প্রিয়জনের সাথে গল্প করতাম। আমার তিন মেয়ে সব সময় বলতো, ‘তোমার মুখে যুদ্ধের কথা শুনে শুনে আমরা বড় হয়েছি।’ বড় মেয়ের বিয়ের পর বড় জামাইয়ের সাথে যখন গল্প করেছি। আমার আব্বু আমাকে বলে, ‘মামনি যেভাবে আমাকে বলছেন। সেভাবে রেকর্ড করে রাখবেন।’ সেই শুরু বুকের মাঝে নতুন অনুভব। দিন যায়। প্রকাশের ব্যথা গুমড়ে মরে। কী করি? কোথায় লিখি? কীভাবে প্রকাশ করি। কাগজে কলমে লেখা হয় না। দিন যায়। ছোট মেয়ে পারসা একদিন ফেসবুকের ‘পেন্সিল’ গ্রুপের কথা বলে। ভয়ে ভয়ে নোট প্যাড তুলে নিই। সেই শুরু। অদক্ষ লেখনি। প্রথম হাতেখড়ির মতো। লেখা পড়ে অনেকেই বলে আমি যেন প্রকাশ করি। নতুন প্রজন্মকে জাগাতে হবে। তারা জানবে। এই শুরু। চেতনার উন্মেষ। তিন সন্তান, মেয়ে জামাইরা মনোযোগ দিয়ে, বিস্ময় নিয়ে জানতে চাইতো মহান মুক্তিযুদ্ধের আমার দেখা অনুভবের খুঁটিনাটি। কৃতজ্ঞতা পরিবারের প্রতি সদস্য আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। এই যে লেখা পাঠানো। না জানি ইন্টারনেটের এই জগতের ব্যবহার। ছোট মেয়ে-জামাই তার কাজের ফাঁকে সময় বের করেছে। এভাবেই স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরকে বরণের প্রক্রিয়া চলছে আমার। পুত্র সদৃশ তিন মেয়ে-জামাই আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করে চলেছে। এছাড়াও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন মোঃ আতিকুর রহমান জুয়েল।