ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ইজরায়েল নিপাত যাক !! সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর। কিন্তু দুঃখ শয়তানের অজ্ঞান বড়ি-ইনজেকশনে মানুষ আজ এতোই উন্মাদ, বেহুশ যে, সে সকলভাবে সবকিছুর প্রশংসা করে কিন্তু মহান আল্লাহর প্রশংসা করতে ভুলে যায়। শুরুতে মানুষের কোন জ্ঞান ছিলো না। আল্লাহ সুবহানাতালা প্রথম মানব আদমকে কয়েকটি শব্দ (vocabulary) শেখালেন। এভাবে আল্লাহ পাক মানুষকে শেখানো শুরু করলেন; নবী, রাসূল আর ফেরেশতাদের মাধ্যমে মানুষকে শিক্ষা দিলেন যা সে জানতো না। দিলেন একের পর এক পাঠ্যপুস্তক যাকে মানুষ আসমানী কিতাব-শাস্ত্র বলে, নানাজন নানান নামে জানে। এভাবে সকল আসমানী পাঠ্যপুস্তক যে-ই সকল সময়ে যেই জাতিগুলোর জন্য পাঠানো হয়েছিল, সেই সময়ের সেই অকৃতজ্ঞ, অপদার্থ, বেকুব মানবজাতির জীবনধারণ ও বিকাশের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য ঐ কিতাবগুলোতে দেয়া হয়েছিল। তারপর শয়তান মানুষকে উল্টাপাল্টা বুঝ দিলে মানুষরূপী কিছু শয়তান জ্বীন শয়তানের সাথে মিলে এই সকল আসমানী কিতাবের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ দিয়ে গরুর বাছুর ও গোমূত্র থেকে শুরু করে নানান মিথ্যা, বানোয়াট ও অপবিত্র অংশ ঢুকিয়ে কিতাব আর মানব উভয়েরই ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। আবার অনেক নবী রাসূল যাদেরকে প্রধান শিক্ষক আল্লাহ পাক আমাদের ক্লাস টিচার হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন, আমাদেরকে শেখানোর জন্য, তাদেরকে হত্যা করা হয়। যেমন সবচেয়ে বেশি নবী রাসূল হত্যা করেছে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা ইহুদিদের উগ্র দলবিশেষ বর্তমানে যারা জায়নিস্ট আধুনিক নামধারণ করেছে। রোমানদের যোগসাজশে ইসা নবীকে ( যীশু খ্রীস্টকে) ওরাই হত্যা করেছিলো ( ওদের দৃষ্টিতে ওরা হত্যা করেছিলো, কিন্তু আল্লাহ পাক উনাকে উঠিয়ে বেহেশতে নিয়ে গেছেন যিনি আবার আসবেন এর প্রতিশোধ নিতে )। এইভাবেই মানবজাতিকে শিক্ষাদানের সর্বশেষ ও সর্বোচ্চ ক্লাসে আল্লাহ পাক কোরআন নামক কিতাব রচনা করেন, মুহাম্মদ (সা:) নামক শিক্ষক নিয়োগ দেন, এবং এই সর্বশেষ আসমানী কিতাবের সংরক্ষণের দায়িত্ব তিনি তাঁর নিজ কাঁধে তুলে নেন। এবার শয়তান এটা বিনষ্ট করতে পারে না বলে তার পূজারীদের মনে এই কোরআনের বিরুদ্ধে নানান রকম জল্পনা-কল্পনা আর উস্কানী দেয় আর তাই মূর্খ মানুষ কোরআনের প্রতি বিরূপ আচরণ করে বলে উঠে: ধর্ম কিছু না, কালচার হচ্ছে সব; কিন্তু অজ্ঞ এই লোকেরা বুঝতে পারে না যে, ধর্ম শিক্ষিত মার্জিত লোকের কালচার, আর কালচার অশিক্ষিত লোকের ধর্ম। প্রতিটি জিনিষেরই রয়েছে ধর্ম, যেমন: লোহার ধর্ম এটা শক্ত ; আগুনে পোড়ালে লোহা নরম হয় ইত্যাদি। সুতরাং তুমি যদি লোহাকে সর্বোত্তম ব্যবহার করতে চাও তোমাকে এর ধর্মগুলো সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান থাকতে হবে। তদ্রূপ মানব জীবনের সফল ব্যাবহার নির্ভর করে এর ধর্মের উপর যা তৈরি করেছেন সেই মহান বিজ্ঞানী যিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। যেই মহান বিজ্ঞানী আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমার জীবনের সফল ব্যবহারের জন্য তিনি যেই ধর্ম (Operating System) আমাকে দিয়েছেন সেটা আমি ফলো করবো না, অন্য কোন পথনির্দেশিকা ( Instruction Manual) ফলো করবো যেটা আমারই মতো মানুষ বানিয়েছে? এটা শয়তান ছাড়া অন্য কেউ বলতে পারে না। এভাবে শয়তান মানুষকে ধোকা দিয়ে তার দাসত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে।