মনোনীত ২১জন লেখক ও গল্প : অপেক্ষার পত্র- সাদিয়া খান মুন অবশেষে মিলন- সাজি আফরোজ সমুদ্র দর্শন - সাকিব হাসান রুয়েল দায়িত্বের শিকল - নাফিসা মুনতাহা পরী মহাকালের অভিশাপ - মহাসিনা বেগম রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই - আফরোজা আক্তার অগ্নিঝরা সেই দিনগুলো - সামিয়া খান প্রিয়া পরিবর্তন - মুন্নি আক্তার প্রিয়া শীত বস্ত্র - শারমিন আক্তার একুশ কদম - সুবহান আরাগ বিবেক - শাহেদুল ইসলাম মাহিম চিরস্থায়ী সুখের স্বপ্ন - মো. সাইফুল ইসলাম সজীব ভাইরাস - ডা. মারযিয়া আহমদ শিমুল অহংকার ও কবর - সোনালী আক্তার চাঁদনী নির্মম নিয়তি - ফাবিহা ফারিন প্রিয়ন্তী সখের পাখি - শাহরিয়ার সিফাত অল্প স্বপ্নের গল্প - তামান্না আক্তার পরিণতি - নুশরাত জেরিন মিম ফাহাদের বোধোদয় - জিশান মাহমুদ বাংলার দাম - পারভেজ রানা জীবনের বাস্তবতা - নওশিন তাওছিয়া তাবাচ্ছুম ------------------------------------- ‘একুশ’ শুধু একটি সংখ্যা নয়, এটি একটি অতীত, একটি আবেগ, একটি প্রাপ্তি, একটি রক্তমাখা ইতিহাস! এই একুশ তারিখে ঘটে যাওয়া অনেক স্মরণীয় ঘটনা আছে, যা আমাদের হাসায়-কাঁদায়। পৃথিবীর বুকে আমরাই একমাত্র জাতি, যারা ভাষার জন্য রক্ত ঝরিয়েছি, জীবন দিয়েছি। আর তাই আমাদের সেই আত্মত্যাগের উপহার স্বরূপ আমরা পেয়েছি, প্রিয় মাতৃভাষা বাংলা। বিশ্বের দরবারে একুশে ফেব্রুয়ারি স্বীকৃতি পেয়েছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে। প্রতিবছর প্রাণের বইমেলা হয় এই ২১কে কেন্দ্র করেই। তাই সেই একুশকে ঘিরে আমাদের ভিন্নধর্মী চিন্তাধারা থেকে আমরা ২১জন লেখকের সেরা ২১টি গল্প নিয়ে প্রকাশ করেছি চমৎকার ‘একুশের একুশ গল্প’ বইটি। একুশ শব্দটিকে উপলক্ষ করে বইটি প্রকাশ হলেও এতে শুধু একুশের গল্প স্থান পেয়েছে, তা নয়। বইটিতে ভাষা, স্বাধীনতা, দেশপ্রেম, প্রেম-ভালোবাসা, ধর্মীয় বিষয়সহ নানা শিক্ষণীয় বিষয়ের লেখাও স্থান পেয়েছে। একুশকে মনে রাখতে একুশের একুশটি গল্প পড়ুন এবং চমৎকার ‘একুশের একুশ গল্প’ বইটি সংগ্রহে রাখুন। `মহাকালের অভিশাপ' গল্প থেকে কিছু অংশ : সায়রা হক এতক্ষণ চুপ করে বসে ছিল। তারও অতীত মনে পড়ে গেছে, বৃদ্ধ শ্বশুড়-শাশুড়ির সাথে করা ব্যবহারগুলোকে আজকাল অপরাধ মনে হয়, ভুল মনে হয়। তখন তাদেরকে বড্ড বোঝা মনে হতো। আচ্ছা, আরমানের বউও কি আমাদের বোঝা মনে করে? নাহলে ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে এভাবে ঝগড়া করবে কেন? আর আমিও তো বউটাকে যখন যা মুখে আসে বলে ফেলি, এটাও খুব খারাপ! নিজেকে শোধরাতে হবে। আরমানের বউয়ের কাছে যেতে হবে। তার ভুল ভাঙাতে হবে। মহাকালের প্রতিশোধের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে। নয়তো তারাও যে বৃদ্ধ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার পথ তৈরি করবে! তাদের এটিও মনে করিয়ে দিতে হবে যে, সময় কখনোই কাউকে ক্ষমা করে না। সায়রা হক উঠতে উঠতে বলল, ‘চলো, আমিও রান্নাটা সেরে নিই। গোসল করে এসে আরমানকে কল করে বলে দাও, আগামী মাসেই আমরা ওর কাছে যাচ্ছি। এবার অনেকদিন থাকব।’ সামাদ হক অবিশ্বাস নিয়ে স্ত্রীর দিকে তাকাল। স্বামীর তাকানো দেখে সে মুখে হাসি টেনে বলল, ‘এমন করে কী দেখছো? আমরা সত্যিই যাচ্ছি, কতদিন ছেলেটাকে দেখি না। এবার মায়ের মমতা দিয়ে বউমার রাগ ভাঙাবো। মেয়ের মতো আদর করব, তার প্রতি রাগ দেখাবো না। তাহলে হয়তো সেও আমাকে তার নিজের মায়ের মতো আপন করে নেবে। আরমানকেও খুব করে বলব দেশে চলে আসতে। আমাদেরকে নিয়ে একসাথে থাকতে। আমরা আবার আগের মতো সুখী দিন কাটাবো।’
M. Imon Islam, ১৯৯২ সালে সাতক্ষীরা জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটোবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। পড়তে পড়তে একটা সময় লেখালিখি শুরু করেন। অষ্টম শ্রেণীতে থাকতে তার লেখা একটি ছড়া প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে দুইশতেরও অধিক ছড়া-কবিতা, গল্প দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। . তিনি মানবতার সেবায় কাজ করতে পছন্দ করেন। সে কারণে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আমরাও পারি’ নামে একটি সমাজসেবী সংগঠন। এছাড়াও কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। তিনি এমন কিছু করে রেখে যেতে চান, যার দ্বারা তার মৃত্যুর পরেও মানুষ উপকৃত হতেই থাকবে। তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্থানীয় দুটি পত্রিকায় ও একটি কমিউনিটি রেডিওতে সাংবাদিকতা করেন। কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করার পর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন। . তিনি শিক্ষণীয় বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন। স্বপ্ন দেখেন সু-সাহিত্য ছড়িয়ে দেওয়ার। ২০১৮ সালে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়, ‘বদলে যাওয়ার গল্প’ নামে একটি যৌথ গল্পগ্রন্থ। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম ৬৪ জেলার ৬৪ জন লেখকের ৬৪টি গল্প নিয়ে তার সম্পদনায় প্রকাশিত হয় ‘আঁধারে আলোর গল্প’ নামে চমৎকার একটি যৌথ গল্পগ্রন্থ। এরপর ২০২০ সালে তিনি সম্পাদনা করেন ‘আলোর মিছিল’ নামে আরও একটি যৌথ গল্পগ্রন্থ। ‘চিরছুটি’ লেখকের প্রথম একক গল্পগ্রন্থ। এই বইটিতে তার লেখা ১২টি সেরা গল্প স্থান পেয়েছে।