গল্প আবর্তিত হয়েছে ইতিহাস থেকে কিংবদন্তিতে, অতিপ্রাকৃত থেকে ধর্মে, জাদুবিদ্যা থেকে বন্ধুকযুদ্ধে, তান্ত্রিকতা থেকে যুদ্ধবিদ্যায়, ভালবাসা থেকে উচ্চাকাঙ্খায়। এক সূতোয় গেথেছে ৩,৭০০ বছরকে-শক্তিশালী প্রাচীন আর বর্তমান সময়ের সব চরিত্র-সেই সাথে নখ কামড়ানোর মতো ষড়যন্ত্র-সবই মলাটবদ্ধ হয়েছে এই এক থ্রিলারে। ২০১৭, দিল্লি- মুমূর্ষ পিতৃপুরুষ ডেকে পাঠালেন বিদ্যুৎকে। দেবরক্ষা মঠের সেই বৃদ্ধ ব্রাক্ষ্মন গোত্রপধান বা দেবতা-দানবের বংশধর, বহন করে চলেছেন এক গোপন রহস্য। তাদের বংশের রক্ত বহন করে চলেছে এক প্রাচীন অভিশাপ যা মানবসভ্যতার জন্য এক ভয়ংকর মহামারী হয়ে নিয়ে যাবে সহিংস বিলুপ্তির পথে। খ্রিষ্টপূর্ব ১৭০০ সাল, হরপ্পা- প্রমত্তা স্বরসতী নদীতীরে অবস্থিত এক সমৃদ্ধশালী জমকালো শহর হরপ্পা। শেষ দেবতার উপর ভর করে বিশ্বাসঘাতকতার অন্ধকার, তান্ত্রিক যাদুবিদ্যা এবং রক্তপাত-উন্মোচিত করে দেয় তার ধ্বংসের পথ। ২০১৭, প্যারিস- কেঁপে উঠল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতাশালী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি। ইউরোপের ভয়ংকর ক্রাইম লর্ডের সাথে প্যারিসে দেখা হলো রহস্যময় এক মানুষের। নৃশংস এক গুপ্তঘাতক চড়েছে ট্রেনে, চরম ভয়ংকর কিছু ঘটার অপেক্ষা করছে রোম শহর। ফিরে এসেছেন পূর্বঅনুমিত দেবতা। বানারস, হরপ্পা আর রোমের মাঝে যোগসূত্রটা কোথায়? কি সেই প্রাচীন অভিশাপ? আর শেষ দেবতাই বা কে? বিশাল হিন্দুকুশ উপত্যকার পতনের পেছনের কারন কি? জানতে হলে পড়তে হবে সহিংসতা আর শঠতা, দেবতা আর দানব, ভালবাসা এবং উচ্চাকাঙ্খার এই আখ্যান।