স্বপ্ন প্রচেষ্টা অতঃপর পূর্ণতা। তখনো নিয়মকানুনে পরিপক্ব হইনি। তবুও স্বপ্ন দেখছি ব্যতিক্রমী কোনো কাজ করব বাংলা বর্ণমালা নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে একটি ভিন্নরকম থিমটা মাথায় আসে। এরপর শুরু করলাম প্রচেষ্টা।ওই সম্পর্কে জানা শুরু করলাম। কয়েকটি বই সংগ্রহ করলাম। কিন্তু মনের মতো কোনো বই পেলাম না। তাই নিজেই ওই বিষয়ের ওপর লেখা শুরু করলাম। . সহজে শুরু করতে পারলেও সামনে এগিয়ে যাওয়া এতটা কঠিন হবে, তা ভাবীনি। কারণ অন্যান্য বইগুলো বর্ণমালা নিয়ে লেখা হলেও প্রতিটি লাইনে একই বর্ণ ব্যবহার করা হয়নি, কিন্তু আমি চাচ্ছিলাম, প্রতিটি লাইনের প্রথমেই নির্দিষ্ট বর্ণটি থাকবে। তাই কিছু অংশ লিখে ফেলে রাখতে হয়, ধৈর্যশক্তি ও মেধার কমতি আছে বলে। আবার কিছুদিন পর শুরু করি আবার রাখি, পুনরায় শুরু অতঃপর আবার বন্ধ। . এভাবে কেটে গেল তিনটি বছর। পাণ্ডুলিপি প্রকাশের উপযোগী মনে হলেও রেখে দিয়েছি যতনে। সম্পাদনায় কেটে গেল আরেকটি বছর। মনস্থ করলাম বই হিসেবে আনবো। অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছিলাম। হতাশ হয়েছিলাম কিছুটা। ‘আলোর ঠিকানা প্রকাশনী’-র প্রকাশক এগিয়ে এলেন। অভয় দিলেন। . বইয়ের প্রথম কপি নিলামে সর্বোচ্চ দামে কিনে জনপ্রিয় গীতিকার আবু সালমান মোহাম্মদ আম্মার ভাইয়া একরাশ চিন্তামুক্ত করলেন। সাথে জনপ্রিয় লেখক রাকিবুল এহছান মিনার, ছড়াকার মেছবাহ উদ্দিন মারুফ ও কবি আলাউদ্দিন আদর-এর অবদান তো ভুলবার নয়। প্রতি মুহূর্তে তাঁরা ভরসা দিয়েছেন এবং খোঁজখবর নিয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন। . দীর্ঘ চারবছরের গবেষণা ও প্রচেষ্টার পরও মনে হচ্ছে আরো কয়েকবছর নিজের কাছে রাখতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু সেই ধৈর্যশক্তি আমার নেই। তবুও পরিশ্রম ও সাধনা কতটুকু স্বার্থক হলো, তা এবার দেখার অপেক্ষা। . প্রিয় পাঠক বইপাঠে আপনার মন্তব্য খুবই প্রয়োজনীয়। মনোযোগী পাঠক লেখকের যোগ্যতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আপনাকেও তেমনই চাই। কোনোপ্রকার ভুল পরিলক্ষিত হলে জানানোর সুবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। . আব্দুল্লাহ শাহজাহান নবাবপুর, ফেনী।