"মাইক্রোসফট অ্যাডভান্সড এক্সেল ২০১৩ (সিডি সহ)"বইটির প্রথমের কিছু অংশ: এক্সেল বেসিক পরিচিতি এক্সেল কি? Excel শব্দের আভিধানিক অর্থ হলাে শ্রেষ্ঠতর হওয়া। গুণ, কৃতিত্ব প্রভৃতিতে শ্রেষ্ঠতর বা উৎকৃষ্টতর হওয়া। বিশ্বখ্যাত মাইক্রোসফট কর্পোরেশন কর্তৃক তৈরিকৃত এ প্রােগ্রামটি একই সাথে অনেক সমস্যা সমাধানে অন্যান্য অনেক প্রােগ্রাম থেকে শ্রেষ্ঠতর । তাই এর নামটি যথার্থ হয়েছে। উইন্ডােজভিত্তিক এ অ্যাপ্লিকেশন প্রােগ্রামটির সাহায্যে জটিল গাণিতিক পরিগণনা, তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনায় নিখুঁতভাবে চার্ট বা গ্রাফ তৈরি করা ইত্যাদি ছাড়া আরও অনেক জটিল কাজকে অতি সহজে সমাপন করা যায়। এক্সেলের সুবিশাল পৃষ্ঠাটি কলাম ও সারিভিত্তিক সেলে বিভক্ত হওয়ায় এতে বিভিন্ন তথ্য সন্নিবেশন করে তথ্য বিশ্লেষণ করা যায় বলে একে স্পেডশিট অ্যানালিসিস প্রােগ্রাম বলা হয়। এক্সেল দিয়ে আমরা কি করতে পারি এক্সেল স্পেড়শিটকে আমরা একটি বিরাট পৃষ্ঠা হিসেবে গণ্য করতে পারি। একটি খাতাতে কলম, রাবার এবং ক্যালকুলেটরের সাহায্যে আমরা যা যা করতে পারি এক্সেল স্পেডশিট দিয়ে আমরা তার চেয়েও বেশি এবং জটিল কাজ করতে পারি। কম্পিউটারের কী-বাের্ডকে কলমের মতাে ব্যবহার করে স্পেশিটে আমরা বিভিন্ন আক্ষরিক ও গাণিতিক তথ্য লিখতে পারি এবং গাণিতিক তথ্যগুলােকে এক্সেলের সাহায্যে বিভিন্ন ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনাসহ যাবতীয় অর্থনৈতিক হিসাবনিকাশ, এক কথায় হিসাব সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত কাজ এক্সেলের স্পেডশিটে করা যায়- যার সবগুলাে এ ক্ষুদ্র পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তবে মােটামুটিভাবে স্পেডশিটের সাহায্যে আমরা সাধারণতঃ যে কাজগুলাে করে থাকি তা হলাে : দৈনন্দিন হিসাব সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ। বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন। বাজেট প্রণয়ন। ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় যাবতীয় হিসাব (সুদকষা) বিষয়ক বিশ্লেষণ। উৎপাদন ব্যবস্থাপনা। । আয়কর ও অন্যান্য হিসাব তৈরিকরণ। বৈজ্ঞানিক ক্যালকুলেশন। বেতনের হিসাব (Pay Roll) তৈরিকরণ । মজুদ পরিমাণ ও নিয়ন্ত্রণ। সব ধরনের পরিসংখ্যান। সব ধরনের আর্থিক ব্যবস্থাপনা। ডেটা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা। তথ্যকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের চার্ট বা গ্রাফ তৈরি করা ইত্যাদি। এক্সেলের বিভিন্ন ভার্সনসমূহ। Version বা Release কে Edition বা সংস্করণ বলা হয়। সফটওয়্যার কোম্পানিগুলাে তাদের তৈরিকৃত প্রােগ্রামগুলাে প্রথমে একটি সংস্করণ নামে বের করে। পরবর্তীতে প্রােগ্রামের অনেক সীমাবদ্ধতা দূর করে প্রােগ্রামকে যুগােপযােগী করে অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকার জন্য আপগ্রেড ভার্সন বের করে। এক্সেল এর কয়েকটি ভার্সন ইতােমধ্যেই বের হয়েছে। আইবিএম বা আইবিএম কমপিটিবল কম্পিউটারের জন্য এক্সেলের ৫.০ ভার্সনটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। পরবর্তীতে উইন্ডােজ ৯৫ উপযােগী করে বের হয় ভার্সন ৯৫ বা ৭.০। ৯৭ এর পরের ভার্সন হলাে ২০০০। ২০০১ সালের মে তে বের হওয়া অফিস এক্সপি এর অধীন এক্সেল এক্সপি হলাে এক্সেলের বেশ জনপ্রিয় ভার্সন। এক্সেল ২০০০-এ নতুন অনেক সুবিধা রাখা হয়েছে। এক্সেল ৯৭ এর প্রায় সবকিছু অক্ষত রেখে নতুন আরাে অনেক কিছু সংযােজন করে সমৃদ্ধ করা।
বাংলা ভাষায় আইসিটি বিষয়ক প্রকাশনার অগ্রদূত মাহবুবুর রহমান, এ পর্যন্ত বই লিখেছেন ১০৮টি। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ১৯৯২ সাল থেকে নিবেদিতভাবে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে লিখে চলেছেন। দেশে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইন্সটিটিউট কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড হুজ হু’ এর নবম সংস্করণে তাঁর জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা বই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার বিখ্যাত পাবলিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাং (ইউএমপি)-তে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।