"বারো ভূত ভয়ংকর" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ভূতের গল্প বা ভৌতিক কাহিনি শুধু শিশু কিংবা কিশাের নয়, বয়স্কদেরও সমান আকর্ষণ করে। ' যেমন বাঁকুড়ার লাশঘরের পাশে ডাঁই করে রাখা খালি পিপে কারা যেন রাত্রে ঢালু পথে গড়িয়ে নিয়ে চলে আবার চড়াই ভেঙে ওপরে আনে। লাশঘরের ভিতর থেকে দুটো কুচকুচে কালাে মুর্তিকে কেউ-কেউ বেরিয়ে আসতেও দেখেছে। আবার মামলা সেরে ফেরার পথে রাত্তিরে কোচড়ির শানে এলে পঞ্চাশটি রসগােল্লার এক হাঁড়ি মিষ্টি কারা যেন বাহককে ঠেলে ফেলে দিতে চায়। শেষপর্যন্ত সেই হাঁড়ির কি হল তারই গা-ছমছম করা কাহিনি। আর গভীর রাত্রে ফালাকাটা বাংলােয় কে এসে চা দিল? বাংলাতে চিনি ছিল না। তবু চায়ে মিষ্টি? আর সেই ছেলেটা? যে নাকি হাতল ফস্কে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিল নদীতে। অনেকেই তাকে দেখেছে নির্জন ট্রেনের কামরায়।। সমবয়সি ছেলেদের পেলেই বালুকাময় নদীগর্ভে দাঁড়িয়ে কাছে ডাকে। আর চশমা? গিরিজাশঙ্কর ফের দেখা দিতে পারেন ভেবে যিনি নাকি ' ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট থাকতেও জনতা কম্পার্টমেন্টে আশ্রয় নেন। 'বারােটি এমনি গা-ছমছম করা গল্পের সংকলন। দিনের আলােয় পড়া ভৌতিক কাহিনি। রাত্রে মনে হলেই খুব ভয় করবে।
Debol Debborma ভন্ম ওড়িশার ঝাড়সুগদায় মাতামহের বাসস্থলে। পিতা চণ্ডীচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ছিল বদলির চাকরি। সেই সুবাদে শৈশব-কৈশাের কেটেছে দূর মফঃস্বলের স্থান থেকে স্থানান্তরে। মেদিনীপুরের পাঁচটি স্কুলে ক্লাস নাইন পর্যন্ত পড়া। সালকিয়া অ্যাংলাে-সংস্কৃতি স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন। বেলুড় ও বাঁকুড়ায় আই. এস-সি.। বাঁকুড়া ক্রিশ্চান কলেজ থেকে স্নাতক। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। কর্মজীবনের সূচনায় স্কুল-মাস্টারি। মফঃস্বল এবং কলকাতার স্কুলে। মাস কয়েক এ. জি. বেঙ্গলের চাকরি। তারপর ড. বি. সি. এস. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাণিজ্যকর আধিকারিক সহকারী কমিশনার হওয়ার পর অবসর। বর্তমান নিবাস সল্ট লেকে। কলেজ জীবন থেকেই সাহিত্যরচনায় ঝোক। প্রবাসী আয়ােজিত এক গল্প। প্রতিযােগিতায় জীবনের প্রথম বড়দের গল্প। সেই গল্পে বিশেষ পুরস্কারের সম্মান। এরপর থেকে নিয়মিত লেখালেখি। প্রথম অজিত চট্টোপাধ্যায় এই স্বনামে, পরে দেবল দেববর্মা ছদ্মনামে। প্রকাশিত গ্রন্থ প্রায় ৬০ এর অধিক। বেতারে-দূরদর্শনে একাধিক কাহিনির সম্প্রচার, নাটক সিরিয়াল রূপে। পছন্দ দূরভ্রমণ, সবুজ রঙ।