বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ-এর অংশ নোবেল জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস উদ্ভাবিত 'সামাজিক ব্যবসা' দর্শন আজ বাংলাদেশসহ পৃথিবীর নানা দেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যেহেতু ব্যবসা জগতে এটা এক নতুন দর্শন, সেহেতু ব্যবসায়ী মহলে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ব্যবসার সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণার রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। তাই আজ বাংলাদেশ সহ বিশ্বের নানা দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজনেস স্কুলে ‘সামাজিক ব্যবসা’পড়ানো হচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সামাজিক ব্যবসা বিষয়ক ইনস্টিটিউট। বিভিন্ন দেশের সরকারের নীতি নির্ধারক, ব্যবসায়ী ও একাডেমিক জগত সর্বত্র এখন 'সামাজিক ব্যবসা' একটি আলোচ্য বিষয়। শুধু সামাজিক ব্যবসাই নয়, সামাজিক ব্যবসায় মূলধন জোগানোর জন্যে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের নানা দেশে ‘সামাজিক ব্যবসা ফান্ড' গঠিত হয়েছে। অনেক দেশের সরকার, বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন সহযোগী, বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানীজ শুধু সামাজিক ব্যবসায় বিনিয়োগ দেবার জন্যে বা পার্টনার হবার জন্যে বড় অংকের তহবিল গঠন করেছে। এই বইতে সেরকম কয়েকটি দেশের কেস স্টাডিও রয়েছে। যাতে পাঠকদের কাছে সামাজিক ব্যবসা পরিচালনার সবদিক স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই পটভূমিতে লেখক এম. এফ. এম. আমীর খসরু সামাজিক ব্যবসার নানা খুঁটিনাটি নিয়ে এই গ্রন্থ রচনা করেছেন। একজন ব্যবসায়ী বা শিক্ষার্থীর মনে 'সামাজিক ব্যবসা' সম্পর্কে যত প্রশ্ন জাগতে পারে তার প্রায় অনেকগুলোরই ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন এই গ্রন্থে। 'সামাজিক ব্যবসা' সম্পর্কে আগ্রহী যে কোনো পাঠক এই বই পড়ে নানা তথ্য জানতে পারবেন । লেখকের বর্ণনাভঙ্গি, সহজ সরল ভাষা ও নানা দেশের দৃষ্টান্ত পড়ে পাঠক নিজেই সামাজিক ব্যবসায় অনুপ্রাণিত হয়ে পড়বেন। দারিদ্র্য দূরীকরণে ও নানা সামাজিক সমস্যার সমাধানে “সামাজিক ব্যবসা' যে ইতোমধ্যেই একটা বড় শক্তি হয়ে উঠেছে তা এই বই আবার প্রমাণ করেছে।