"বুম্বা, শট রেডি" বইয়ের শুরুর কথা: অনেক অনেক কথা জমে ছিল ভেতরে। দীর্ঘ এত বছর ধরে কাজ করছি—সেখানে আমার অভিনয় রয়েছে, রয়েছে আমার সুপারস্টার হওয়া, রয়েছে আমার ব্যক্তিগত জীবন। তার কিছুটুকরাে টুকরাে অংশবিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এত বছর ধরে বেরিয়েছে। কিন্তু কেন জানি না, তার বাইরেও ভেতর থেকে আরও কিছু বলার তাগিদ অনুভব করছিলাম অনেকদিন ধরে খালি মনে হচ্ছিল, আমার নিজের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আমার দর্শক এবং পাঠকদের আরও অনেক কিছু বলা উচিত যা আমি সাধারণ কাগজের ইন্টারভিউয়ে বা প্রবন্ধে বলিনি। সেই থেকেই ভাবনা শুরু বুম্বা, শট রেডি’-র। আজকে যখন আমি আমার জার্নিটার দিকে দেখি, তখন বারবার মনে হয় প্রতি দশ বছর অন্তর আমি কিন্তু নিজেকে ভেঙেছি। তাই ১৮ বছরের প্রসেনজিতের চেয়ে ২৮-এর প্রসেনজিৎ অনেকটাই আলাদা। ২৮ থেকে আবার ৩৮-এর কোনও মিল নেই। সেই পথ চলায় ভুল কি হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। এবং সে জন্য কোনও দিন দাবি করিনি যে আমি সাধু’। সবসময় বলে এসেছি, আমি রক্তমাংসের মানুষ। যে আর দশটা মানুষের মতােই ভালবেসেছে, ভুল করেছে, ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে। এই রক্তমাংসের প্রসেনজিৎ-কেই কিন্তু আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরতে চেয়েছি। এবং এটাও জানি, প্রসেনজিতের কাহিনি একটা খণ্ডে বেঁধে রাখা সম্ভব নয়। তার জন্য চার কী পাঁচ খণ্ড দরকার। কিন্তু পথ চলাটা তাে শুরু হােক।