ইরানের শাহানশাহ্ খসরু পারভেজ, রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস ও আবিসিনিয়ার বাদশাহ্ নাজ্জাশীর কাছে লেখা মুহাম্মাদ সা.-এর চিঠি। পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান ‘ম্যাগনাকার্টাসহ
মহানবী (সা.)-এর চিঠি চুক্তি ভাষণ বইটিতে রাসূল (সা.)-এর জীবনে লেখা বহু গুরুত্বপূর্ণ চিঠি, চুক্তি এবং ঐতিহাসিক ভাষণসমূহ। সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রতিটি মুসলিম পরিবারে সংরক্ষণ করার মতাে গুরুত্বপূর্ণ বই এটি। পৃথিবীর প্রতিটি যুগেই বা শতাব্দীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বা শাসকেরা যে ভাষণ দিয়ে জাতিকে উদ্বেলিত করেছেন, উদ্বুদ্ধ করেছেন, স্বাধীনতা অর্জনে বা বিজয় অর্জনে। সে সব। ভাষণও কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। কেন ঐ সব ভাষণ কালের গর্ভে হারিয়ে গেল? কারণ ঐ সব ভাষণে ছিল পৈশাচিক উন্মাদনা, ছিল উগ্র জাতীয়তাবাদ। উগ্র জাতীয়তাবাদের কারণে লক্ষ লক্ষ বনি আদমকে পৈশাচিক কায়দায়, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। হিটলার ও মুসােলিনী উগ্র জাতীয়তাবাদের জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিলিয়ন মিলিয়ন বনী আদমকে পৈশাচিক হত্যার নেশায় উত্তাল ও উন্মাদ করে তুলেছিল। এবার আসি রসূল (সা.)-এর মক্কা বিজয়। প্রসঙ্গে। পৃথিবীর ইতিহাসে যা ছিল একমাত্র রক্তপাতহীন বিজয়। মক্কা বিজয়ের ঐতিহাসিক ভাষণে মুহাম্মদ (সা.) বললেন, ‘লা তাসরিবা। আলাইকুমুল ইয়াওমা অর্থাৎ ‘আজ তােমাদের কাছ থেকে আমি কোনরূপ প্রতিশােধ নেব না। এই নগরীতে তােমরা সবাই স্বাধীন। তােমাদের কারাে বিরুদ্ধে আমি কোনাে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। গ্রহণ করবাে না।' এ কথা শুনে মক্কাবাসীরা। পরস্পর মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে লাগলাে। এ কোন্ মহামানবের সাথে আমরা এতদিন শত্রুতা করেছি।