ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশের সমস্যা অনেক। এদেশের প্রধান সমস্যাগুলোর অন্যতম হলো দারিদ্র ও বেকারত্ব। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে বিভিন্ন সমস্যা। এসকল সমস্যা দূরীকরণের জন্য প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা ও তার সঠিক প্রয়োগ।
এদেশের রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। এর সিংহভাগই এখনো অনাহরিত। একদিকে বাংলাদেশে যেমন আছে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ তেমনি অন্যদিকে আছে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অপুষ্টি ও নিরক্ষরতার মতো দুষ্টু চক্রের নিগুঢ় বন্ধন। এসকল কারণেই মানবসম্পদ উন্নয়নের বিষয়টি এখনো রয়েছে অবিকশিত।
দেশের অর্থনীতির উপর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এবং এর সমাধানের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ও গৃহীত পদক্ষেপ এবং বিবেচ্য ব্যবস্থার আলোকে রচিত এ-গ্রন্থ।
সূচি * ঢাকায় দাতা গোষ্ঠীর বৈঠক-’৯৭: সাহায্য উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে স্থিতিশীলতা অবশ্যক * সংস্কারের প্রতি অঙ্গীকার ও বাস্তবায়নে দৃঢ়তা বাংলাদেশের কনসোর্টিয়াম সাহায্য প্রাপ্তির ব্যারোমিটার * কনসোর্টিয়াম বৈঠক ও বিবেচিতব্য বাংলাদেশ-এর আর্থ-সামাজিক অবস্থান * আই এম এফ-এর শর্ত : ইসাফ তহবিলের সাহায্য : সংস্কার কর্মসূচির দ্রুত বাস্তবায়ন অত্যন্ত আবশ্যক * ঢাকা বিনিয়োগ সম্মেলন : সরকার ও বিরোধঢী দলের ঐকমত্য বিদেশী বিনিয়োগের সহায়ক * বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি শিল্পায়ন ও উন্নয়নের সহায়ক * বিদ্যুৎখাত বেসরকারী করণ নীতি শিল্পায়নের সহায়ক হতে পারে * বিদ্যুৎ সংকট : জন জীবন ও জাতীয় অর্থনীতি হুমকির সম্মুখীন * জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি : ‘ক্রলিং পেগ’ নীতি অসুরণ বাঞ্চনীয় ছিলো * ইসি’তে হিমায়িত চিংড়ি নিষিদ্ধ : বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ব্যাপক হ্রাস পাবে * শিল্পের গতিময়তার জন্য রুগ্ন শিল্পকে বাঁচিয়ে তোলা দরকার * জি এস পি ভুয়া সার্টিফিকেট বাতিল : বিজিএম ইএ’র দ্বৈত ভূমিকা প্রশ্ন স্বাপেক্ষ * বাটেক্সপো : পোশাক শিল্পের বিকাশ : বিজিএম ইএ’র দ্বৈত ভূমিকা প্রশ্ন স্বাপেক্ষ * একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারীকরণ : গতিশীলতায় বিশ্বব্যঅংকের সুপারিশ * জিএসপি সংকটের সুরাহা ও বিশ্ব ব্যাংকের আংশকা * পোশাক শিল্প বিপর্যয়ের মুখ : ইসি’র শর্ত : জি এস পি সার্টিফিকেট ও ইপিবি’র দৌরাত্ম্য * টাকার অবমূল্যায়ন : পোশাক রফতানি হ্রাস : বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ : সার্বিক অর্থনীতি চাপের মুখে * ব্যাংকিংখাতে বিশৃংখলা : বিনিয়োগে বাধার সৃষ্টি * ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলাতা দূরীকরণ আবশ্যক * টাকার অবমূল্যায়ন : পোশাক রফতানি হ্রাস : বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ * কৃষি জাত সামগ্রীর সংরক্ষণ : ন্যায্য মূল্য : কৃষকের ভবিষ্যৎ * নুন আনতে পান্তা ফুরায় : পাট নিয়ে অপেক্ষার সময় কৈ! * পাটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বিপর্যস্ত পাট খাতকে সহায়তা দেয়া আবশ্যক * ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে, বহে কি তা মৃদু লয়ে! * টাকার অবমূল্যায়ন : বিনিয়োগ-আমদানী-রফতানী’র ক্ষেত্রে সফলতা আনবে কি? * মৎস্য চাষকে শিল্পের মর্যাদা দেয়া আবশ্যক * আমাদের ক্রেতা স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের গতি আনয়নে সহায়তা সম্ভব * ভারতের ভ্রান্ত ট্যারিফ নীতিতে আমাদের বাজার বিদেশী পণ্যে সয়লাব * আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে : ‘বাঘে-হিংসে’ অবাধ প্রতিযোগিতা হতে পারে * ভারতের আনফেয়ার ট্রেড * মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের অবৈধ শ্রমিক : শ্রম বাজার হুমকির সম্মুখীন * পর্যটন মাস উদযাপন : পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন : বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়া আবশ্যক * শিল্পায়নের গতি ত্বরান্বিত ও খেলাপি ঋণের প্রবাহ অবদমনে সুদের হার কমিয়ে আনা দরকার * দারিদ্র্য নিরসন ও উৎপাদন কার্যক্রমে গতিশীলতা প্রয়োজন * বাজার অর্থনীতি : আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এর প্রভাব * সার্ক সদস্যদের মধ্যে সহয়োগিতা বৃদ্ধি পদক্ষেপ আবশ্যক * সাফটা’র সুবিধা অর্জনে প্রস্তুতি গ্রহণের আবশ্যকতা রয়েছে * আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অবসান বিনিয়োগে সহায়ক * কৃষিতে পরিবর্তন ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনা * গার্মেন্টস শিল্পের দীর্ঘ মেয়াদি স্বার্থে সুস্থ ট্রেড ইউনিয়নের পরিবেশ গ্রহণযোগ্য * জনসংখ্যা বৃদ্ধি জনিত ব্যাপক বেকার সমস্যাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নেয়া আবশ্যক
আনু মাহমুদ তরুণ অর্থনীতিবিদ, প্ৰবন্ধকার, কলাম লেখক ও গ্রন্থকার হিসেবে ইতোমধ্যে বেশ পরিচিতি অর্জন করে সুধী পাঠক সমাজে একটি স্থান আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও তিনি তার কর্মপরিসরে সরকারি কর্মকর্তা ও এ্যাডমিনেস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সদস্য হিসেবে মোঃ মাহমুদুর রহমান নামেই সমধিক পরিচিত। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপসচিব এবং জাতীয় গ্ৰন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আনু মাহমুদ বেশ সময় ধরে লেখা-লেখির সাথে জড়িত রয়েছেন এবং অনেক চড়াই উৎরাই করে দীর্ঘ পথ পরিক্রমার মাধ্যমে পরিস্ফুটিত হয়েছেন গ্রন্থকারের বর্তমান অবস্থানে এবং সংগ্রহের ঝুলিতে অর্জন করেছেন আর্থ-সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিতসহ বহু বিষয় ভিত্তিক গ্রন্থের সফলতা, যা ইতোমধ্যে পাঠক সমাজে বেশ সমাদৃতও হয়েছে। তাঁর লেখালেখির শুরু হয়েছে সেই ছাত্র অবস্থা থেকে, আর তা ক্ৰমান্বয়ে শিকড় গেড়ে পত্র পল্লবে শোভিত হয়ে শাখা বিস্তার করে বর্তমানে রূপ নিয়েছে কাণ্ডে, বৃক্ষে। কিন্তু তার প্রত্যাশা রয়েছে একে ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে এক বিরাট বটবৃক্ষের রূপ দেয়ার। লেখালেখির জগতে যেমন জড়িযে আছেন তেমনি আর্থ-সামাজিক সংগঠনের সাথে। তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা মাহমুদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের দুই সন্তান চাঁদনি ও ইযু। তিনি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য, জনাব মজিবর রহমান তালুকদারের দ্বিতীয় সন্তান।