"অসৎ নারীর পরিণতি" বইয়ের মলাটের লিখা: ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নারীর গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনের নৈতিক অবকাঠামো প্রধানত নারীর হাত ধরেই নির্মিত হয়। সে কারণে, কোনো নারী যখন বিপথগামী হয় তখন সে একটি বিপথগামী সমাজেরই প্রতিনিধিত্ব করে। তাই নারী জাতির শুদ্ধি মানেই পরিচ্ছন্ন, শালীন ও পরিশুদ্ধ সমাজের বাস্তবায়ন। মেরাজ রজনীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসৎ নারীদের ভয়াবহ পরিণতি প্রত্যক্ষ করে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উম্মতকে সাবধান করেছেন। কেউ যাতে সেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সম্মুখীন না হয় সেজন্য তিনি রেখে গেছেন পথ-নির্দেশ। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ‘ অসৎ নারীর পরিণতি-এ উঠে এসেছে সেই বীভৎস পরিণতির স্বরূপ। একই সাথে উঠে এসেছে নানা প্রকার চারিত্রিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্ত্বিক নৈতিক-অনৈতিকতার স্বরূপ ও পরিণতির কথা। সবিচার বিশ্লেষণ হয়েছে কিছু বাস্তব ঘটনা ও কাহিনীর। গ্রন্থটি পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম ও গ্রন্থকার মাওলানা আবদুর রউফের লেখা ছে গুনাহগার আওরাতেঁ-এর বঙ্গানুবাদ। সমৃদ্ধ জীবনের অন্তরায় হিসেবে বিবেচ্য প্রাচীন ও সমকালীন নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির বিবরণ, পরিণতি ও উত্তরণের পথ বিবৃত হয়েছে লেখকের সুনিপুণ হাতে। অনুবাদকের হাতে এসে আরো কিছু তথ্যের সন্নিবেশ বহুল পঠিত ও সর্বমহলে গৃহীত এ গ্রন্থটিকে দিয়েছে নতুন মাত্রা।