অনেক আকাশ জীবনে গল্পের শেষ নেই, অন্ত নেই তার প্রবাহিত কলমুখরতার। সেই প্রবাহে কত না ঘূর্ণি, কত না স্রোতের আবর্ত! তারই মধ্য থেকে দু-চারটি জলবিন্দু তুলে নিয়ে নির্মিত হয় গল্পের ভুবন। সেরকম কিছু গল্প নিয়েই তৈরি হলো চন্দ্রাবতীর এ বছরের আনন্দবার্ষিকীর গল্পসংকলন ‘অনেক আকাশ'। আসলে অনেক আকাশ তো বহুবিচিত্র জীবনেরই আরেক নাম। সুখ-দুঃখ হাসি-কান্নায় ভরা সেই জীবনে মেঘ-রৌদ্রের অজস্র খেলা! তাতে কখনও ঝলকে ওঠা আলো, কখনও কেঁপে-আসা অন্ধকার! জীবনের এই যে নানারকম উদ্ভাসন, চন্দ্রাবতী তারই সঙ্গে আমাদের শিশুকিশোর পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিতে চায়। একইসঙ্গে জীবনের শুভ ও কল্যাণের পথটিও চিনিয়ে দিতে চায়। অনেক আকাশ অনেক আলো ছড়িয়ে দেবে এটাই চন্দ্রাবতীর প্রত্যাশা। কথার ঝাঁপি আমাদের পূর্বসূরিরা কথাকে অমৃতের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কথার স্রোতেই তো প্রবাহিত হয় জীবন। এই কথামালা লেখকের জাদুকরী হাতের ছোঁয়া পেলেই তা শিল্পিত আখ্যান হয়ে ওঠে। এরকম চারটি আখ্যানের সম্মিলনেই এবারে তৈরি হলো চন্দ্রাবতী একাডেমির উপন্যাসংকলন কথার ঝাপি'। এ ঝাপিতে ভরা রইল আমাদের জীবনের মূল্যবান কথকতা, হাসিকান্নার সুনিপুণ আলেখ্য। এদেশের চারজন স্বনামধন্য লেখকের রচিত এই উপন্যাসসংকলন আমাদের আনন্দবার্ষিকীর আয়োজনকে ঋদ্ধ করে তুলেছে।
কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার চরফরাদি গ্রামে জন্ম। অধ্যয়নস্থল- পাকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকুন্দিয়া পাইলট মডেল হাই স্কুল, ভৈরবের কে. বি. পাইলট হাই স্কুল ও হাজী আসমত কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব ফিলিপিন্স। স্কুলজীবন থেকে লেখালেখির শুরু। বদি মিয়ার রাজাকারের ডায়েরি, টাকাসাহেবের গল্প, পরিরানি ও রাক্ষসের গল্প, ভূত ও বুদ্ধিমান বালক, এক দেশে ছিল এক দেশ হতে দেশ দেশান্তরে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। সম্পাদিত গ্রন্থ : বাঙালির চিরসঙ্গী রবীন্দ্রনাথ, ছড়ায় ছড়ায় শুদ্ধাচার এবং হাওর জঙ্গল মোষের শিং। নেশা দেশভ্রমণ। বাংলাদেশের সব জেলা এবং দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণের নেশায় ঘুরে বেড়িয়েছেন এন্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশে। স্ত্রী নাদিরা বেগম এবং তিন কন্যা- কীর্তি, অর্থী ও শ্রেয়াকে নিয়ে তাঁর ছিমছাম সংসার। কীর্তির সূত্রে তার সংসারে যোগ হয়েছে মিতুল এবং সুহৃদ।