খুব কম মানুষই আছেন পৃথিবীতে, ছোটবেলায় রূপকথার আড়ালে যারা প্রাচীন মিথোলজির গল্প শোনেন নি। ইকারিয়াসের পাখা, আফ্রোদিতির প্রেম, জিউস কিংবা তার ছেলে হেরাক্লেস, বীর হেক্টর কিংবা একচোখা সাইক্লোপ, আমাদের ছোটবেলার একটা গল্পের মাঝেই কিন্তু ঘুরে বেড়াতো এরাই। মিথোলজির প্রতি মানুষের আকর্ষণ বহু বছর আগে থেকেই। আর সেইসব মিথোলজির ভীড়ে অনন্য হয়ে রয়েছে গ্রীক মিথোলজি, যার সূচনাও আসলে চমকপ্রদ একটা ব্যাপার। প্রাচীন গ্রীক অধিবাসীরা চেষ্টা করতো জগতের সমস্ত ঘটনার এক একটা ব্যাখ্যা দাড় করাতে। আর সেই সীমিত বুদ্ধির অসীম কল্পনাই একে একে সৃষ্টি করেছে অসংখ্য গল্পের। ক্যায়োস থেকে বিশ্ব-ব্রক্ষ্মান্ডের উৎপত্তি, আর তা থেকে পৃথিবী। যাকে ঘিরে অগুনতি দেবতা, অপদেবতা আর দানব মিলে সৃষ্টি হয়েছে সেইসব গল্প-গাঁথা। যেই গল্পের মহাসাগরে ডুব দিলে একটা সময় পাঠক নিজে থেকেই আবিষ্কার করবে যে দেবতা মানেই ‘দেবতা’ নয়, দেবতারও চরিত্রে মিশে আছে শঠতা, লোভ, হিংসা কিংবা প্রতিশোধের স্পৃহা। গ্রীক মিথলোজি এমনই এক অনির্বান গল্পের স্রোত যেখানে দেবতা আর মানুষ যেন আয়নারই এপার ওপার। বাংলা ভাষায় গ্রীক মিথোলজির বেশ কিছু অনুবাদ থাকার পরও এবারই প্রথম সম্ভবত কেউ সাহস করলো সেই বিশাল গ্রীক গাঁথাগুলোকে মলাটবন্দী করে এক ফ্রেমে আনার। আদি থেকে অন্ত হোক কিংবা সৃষ্টি থেকে ধ্বংস গ্রীক মিথোলজির এই ভাবান্তর আপনাকে আটকে রাখবে এক অদ্ভুত মায়াজালে, যেনবা সেই কিন্নরি সাইরেনের মতোই...
এস এম নিয়াজ মাওলা। ধনু রাশির জাতক নিয়াজ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন, ভালবাসেন মানুষের জন্য কিছু করতে। আর তাই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন চিকিৎসা পেশায়। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কর্মরত ডাঃ নিয়াজ অবসর সময়ে লেখালেখির মাধ্যমেই নিজের ভালোলাগাকে খুঁজে ফিরেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস সরলরেখা বক্ররেখা ছিল একটি বারোয়ারী উপন্যাস। ২০১২ সালে অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত বারোজন লেখকের লেখা এই উপন্যাসটি সেই সময়ে পাঠক সমাজে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। একই বছর জার্মান রেডিও সম্প্রচার কেন্দ্র ডয়েচে ভেলের ববস প্রতিযোগিতায় ইউজারদের ভোটে বাংলা ভাষার সেরা ব্লগ হিসেবে পুরস্কার পায় তাঁর ব্যক্তিগত ব্লগ সুড়ঙ্গ। এছাড়াও তিনি ২০১৩ সালে পাক্ষিক অর্থকন্ঠ পত্রিকা থেকে অর্থকন্ঠ হেলথ এওয়ার্ডও পেয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি 'আদি থেকে অন্ত' নামে মিথলজির একটি সিরিজ বই নিয়মিতভাবে লিখছেন, যা পাঠক সমাজে বিপুল সাড়া ফেলেছে। ডাঃ নিয়াজের সহধর্মিনী ফারজানা জামানও একজন চিকিৎসক। চিকিৎসক দম্পতির ঘর আলো করে আছে দুই রাজকন্যা নাশমিয়া নাওয়ার নামিরাহ এবং নুসাইরাহ নাওজা ফায়াহ।।