প্রসঙ্গ: অলকের উপাখ্যান বিশ্বজিৎ পাণ্ডা . প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে নিরন্তর কাব্যচর্চায় মগ্ন আছেন কবি পবিত্র মুখোপাধ্যায়। এই দীর্ঘ পথচলায় তিনি বারবার নিজেকে ভেঙেছেন। আবার নতুন করে গড়ে তুলেছেন কবিতার ভুবন। এভাবে ভাঙতে ভাঙতে—নির্মাণ-বিনির্মাণের ভিতর দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন। সেই সৃজন-চলন অব্যাহত আজও। তাই তাঁর কবিতার পরতে পরতে কত কত ভাঁজ। কবির গহন থেকে উঠে আসা প্রতিটি উচ্চারণ পাঠককে সর্বদা দাঁড় করায় নতুন কোনও আবিষ্কারের মুখোমুখি। এই আবিষ্কার যেমন কবিতার বিষয়ভাবনার ক্ষেত্রে, তেমনি আঙ্গিকের ক্ষেত্রেও। আপাত অন্তর্মুখী এই কবিও প্রয়োজনে মুখর হয়ে ওঠেন প্রতিরোধে-প্রতিবাদে। সেই মুখরতা কখনও-বা প্ৰকাশিত হয় সনেটে, কখনও-বা দীর্ঘকবিতা, মহাকবিতার আধারে। নানা আঙ্গিকের কবিতা লিখেছেন তিনি। ছন্দ-সচেতন এই কবির কবিতায় বারবার ফিরে এসেছে পুরাণকল্প। মিথিক-পৌরাণিক-মহাকাব্যিক নানান চরিত্রকে তিনি সমকালীন প্রেক্ষাপটে প্রতিস্থাপন করেছেন। কবির চিন্তন প্রকাশিত হয়েছে ওই চরিত্রগুলির মধ্য দিয়ে। কোর্আন্- কথিত ইবলিস থেকে পরশুরাম কিংবা রাজা অলর্ক সকলেই তাঁর কবিতার কেন্দ্রে।