"আমি রাতের রজনীগন্ধা" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: বাঁচাও-রক্ষা করাে—সতীত্ব হানির আশঙ্কায় সন্ত্রস্ত হয়ে ছুটে চলে রজনী। পেছনে তাড়া করে এক কামান্ধ পশু। সে রজনীর পবিত্রতা হরণ করে রাতের রজনীগন্ধা বানাতে চায়। রজনী ছুটছে—ছুটছে— বিয়ের রাতে রজনীর জীবনে ঘটে এক চরম অঘটন। বর দুর্গটনায় মারা যাওয়ায় রজনী যখন লগ্নভ্রষ্টা সাজতে গলার মালা মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে। ঠিক তখনই দেবদূতের মত উদয় হয়ে এক আগন্তুক সেই মালা ধরে রজনীর গলায় পরিয়ে দেয়। সেই আগন্তুক এক হাবাগােবা অর্ধোন্মাদ। সবার আপত্তি অগ্রাহ্য করে রজনী সেই হাহাগােবা স্বামীকেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ ভেবে বরণ করে নেয়। রজনী তার ভালােবাসার সেবায়, ভক্তির পবিত্রতায় হাবাগােবা অসুস্থ স্বামীকে ধীরে ধীরে সুস্থ করে গড়ে তােলার ব্রত নেয়। সেই ব্রত যখন সার্থক হওয়ার পথে, ঠিক তখনই রজনীর জীবনে ঘটে আর এক চরম বিপর্যয়। চক্রান্তকারীর চক্রান্তে রজনীর স্থান হয় এক কামান্ধ পশুর কশাইখানায়। তারপরের ঘটনাটা আরাে ভয়ঙ্কর। পূজারিণী রজনীর রাতের রজনীগন্ধা হয়ে ওঠার এক মর্মান্তক কাহিনী। দিকজয়ী অপেরার প্রযােজক শ্রীতাপস পাইকের প্রযােজনায় নাটকটি গ্রাম-বাংলার বুকে এক বিশেষ আলােড়ন তুলেছিল।