‘শিশুর সুন্দর নাম’ বইয়ের ভূমিকা: শিশু সবসময়ই আদরণীয়। শিশুকে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সত্যি কথা বলতে কী-একটি ফুটফুটে শিশুকে আদর করতে কার না মন চায়। সেই সাথে উক্ত শিশুটির যদি একটি সুন্দর নাম থাকে-তাহলে তো আর কথাই নেই। এই কারণে প্রতিটি অভিভাবকই চান-তাঁর শিশুর নামটা যেন এমন হয়- যা কিনা সাধারণের থেকে একটু আলাদা, একটু স্বতন্ত্র। আসলে পৃথিবীর সকল মানুষ একই ধরণের উপাদান অর্থাৎ একই জাতীয় রক্তমাংস দিয়ে তৈরি হলেও তাদের রয়েছে পৃথক পৃথক স্বতন্ত্র সত্তা। এই কারণে একদিকে যেমন তাদের রয়েছে আলাদা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য; অপরদিকে, তার আলাদা চেহারার পাশাপাশি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য হলো তার একটি আলাদা নাম। কারণ, তার এই নামের গুণেই সে তার নিজের ব্যক্তিসত্তাকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে পরিচিত করাতে পারবে। বেশিরভাগ অভিভাবকদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তারা সকলেই চান নিজের প্রিয় সন্তানের নামকরণ যেন একটু আলাদা হয়। অনেক পরিবারেই দেখা যায় নিজেদের বংশের ধারা বজায় রাখার জন্যে একই উপাধি সহযোগে একটি সুন্দর নাম খুঁজতে চেষ্টা করেন। আবার অনেকে একটি ভাল এবং অসাধারণ সুন্দর ডাক নাম রাখতে চান তাঁর সদ্যজাত শিশুরা। অনেকে তাঁর সদ্যজাত শিশুর নাম রাখতে চান বিভিন্ন ধর্মীয় আঙ্গিকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা প্ৰায় প্রত্যেকেই পড়ে যান বিপত্তিতে। কারণ, এই ধরণের নাম কেবল একটি ভাল নামের অভিধান ছাড়া আত্মীয়-স্বজনের মুখে মুখে প্রচারিত নামের ভান্ডার থেকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ভাল ও সুন্দর নাম রাখার এইসব বিপত্তি বা বাধার দিক লক্ষ্য রেখেই আমার এবারের প্রস্তাবনা এই বইটি। বইটিতে পরিষ্কার অর্থ সহযোগে এক বিশাল অংকের সুন্দর ও গ্ৰহণযোগ্য নাম সংকলিত করা হয়েছে। বাজারে প্রচলিত অন্যান্য নামের বই-এর সাথে এর প্রধান পার্থক্য এই যে, এতে যেসব নাম ব্যবহার করা হয়েছে তা বাজারে সহজলভ্য অন্যান্য একটি মাত্র বইতে পাওয়া কোনমতেই সম্ভব নয়। অথচ, আমি মুক্তমনে স্বীকার করছি- এই একটিমাত্র বইতেই পাঠক/পাঠিকাবৃন্দ খুঁজে পাবেন তাঁদের আদরের সন্তানদের উপযুক্ত নাম। আমার সংকলনের সার্থকতা ঠিক এখানেই। -আতিকা ফাইরুজ