যে রহস্যের শেষ নেই এই একুশশতকের পৃথিবীতে বোধহয় আর কোন রহস্য অবশিষ্ট নেই। স্থল-জল- অন্তরীক্ষে উড়ছে মানুষের অহংকারের বিজয়কেতন। অরণ্যচারী আদিম মানব আজ হয়েছে মহাকাশ অভিসারী। সৃষ্টির প্রাকমুহূর্তে কোন সে প্রাণের উন্মাদন ঘটেছিল নিঃসীম নীল মহাসাগরের অতলতলে তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক অনুসন্ধান। এমনকি বিশ্বসৃষ্টির আদি রহস্য উন্মোচনে বিজ্ঞানীরা শুরু করেছেন মারাত্মক অভিযাত্রা। মাটির গভীরে পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গে চলেছে সূক্ষ্মকণার ঘাত-প্রতিঘাতের খেলা। বিজ্ঞানীদের স্থির বিশ্বাস, অদূর ভবিষ্যতে এভাবেই আমরা জানব কবে কখন কিভাবে জন্ম হয়েছিল আমাদের স্বপ্নের বাসস্থান এই বসুন্ধরার। ভাবতে ভারি অবাক লাগে এখনো, এই একুশ শতকে বেঁচে আছে এমন কিছু রোমাঞ্চ যা মধ্যরাতে অতন্দ্র রাখে আমাদের। যুক্তিবাদী মানুষ বিপন্ন বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। মধ্যযুগীয় কুসংস্কারের বিষবাষ্প এসে প্রহেলিকার ওড়না দিয়ে ঢেকে দেয় প্রভাতসূর্যের উজ্জ্বল মুখখানি। এখন চারদিকে শুধুই অমানিশার ঘনকালো অন্ধকার। এমনই এক শেষ না হওয়া রহস্য ছড়িয়ে আছে বারমুডা ট্র্যাঙ্গেলে। এখনও সেখানে চোখের সামনে থেকে হঠাৎ হারিয়ে যায় বিশাল বিশাল জাহাজ। মাঝরাতে শোনা যায় ইস্পাতের উড়ানপাখির কাতর আর্তনাদ। স্মৃতিভ্রষ্ট মানুষরা ভৌতিক অপচ্ছায়ী হয়ে ঘুরে বেড়ায় এখানে সেখানে। কিশোর / কিশোরী বন্ধুরা, হঠাৎ বদলে যাওয়া প্রকৃতির দিক্বলয়ে এখন অরুণ আলোর অঞ্জলি। স্ফটিকশুভ্র কাশ শোনাচ্ছে উৎসবের আহির ভৈরবী। এসো, অবসরের এই মন্দাক্রান্তা প্রহরে আমরা মানসভ্রমণে হারিয়ে যাই ক্যারিবিয়ান সাগরের কোন প্রবালদ্বীপে, যেখানে থরে থরে সাজানো আছে হাজার রহস্যের রত্নভাণ্ডার অথবা ভেসে যাই শয়তানের সাগরে এক দুঃসাহসী অভিযাত্রী হয়ে। 'বারমুডা ট্র্যাঙ্গেল রহস্য' তুলে দেওয়া হল আমার এক অনুসন্ধিৎসু পাঠিকা কুমারী গার্গী দাসের হাতে শুভ দীপাবলির- উপহার হিসাবে।