স্ত্রীলােককে সামাজিক আর্থিক সবদিক দিয়ে বাদ দিয়ে ধরলেও Sex র দিক থেকে চিরদিনই পুরুষের অধীনতা স্বীকার করতে হবে, কিন্তু কেন? এ প্রশ্নের উত্তর প্রকৃতি দিয়েছেন, মানুষে নয়। এবং অধীনতার গ্লানি যে জিনিষটি নিঃশেষে নির্মল করে দিতে পারে, সে ভালবাসা। কিন্তু ভালবাসা বস্তুটি নিরতিশয় জটিল। নিজের বিচার-বুদ্ধি এবং সুবিধা-অসুবিধা বােধের উপর ভালবাসা নির্ণয়ের ভার দিলেও যে অনেক সময় ঠকতে হয়, তার সাক্ষ্য রয়েছে। অনেকে এক নিঃশ্বাসে বলবেন, এর সাক্ষ্য হাতের কাছেই রয়েছে, য়ুরােপ এবং সেখানে বিবাহ-বিচ্ছেদের সংখ্যা কিন্তু সে থাক। আর্থিক দিক থেকে তত নয়, দেহের দুর্বলতাও নয়; কিন্তু প্রেমহীন দেহের অধীনতা সবচেয়ে অসহ্য। আর্থিক স্বাধীনতা স্ত্রীলােকে চান; কিন্তু এ বিষয়ে তাদের দাবীটা পুরুষের মতাে সৰ্বব্যাপী এবং পুরুষের সমকক্ষও নয়। যেখানে স্ত্রীলােক এবং পুরুষের মধ্যে প্রেম রয়েছে, সেখানে আর্থিক ভাবে যদি নারী অধীন হয়ে থাকে, সেটা মন্দ নয়। কারণ নারীর যে সর্বপ্রধান শক্তি এবং সর্বশ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য সেটা তার চারিদিকে একান্ত সহজভাবে সৌন্দর্য এবং প্রশান্তি সৃষ্টি করা।
• • • • • • • • • • • যদিচ নারীর প্রত্যক্ষভাবে অর্থোপার্জন না করলেও চলে; কিন্তু অর্থোপার্জন করার মতাে শিক্ষা থাকা তার অত্যন্ত আবশ্যক। এ ক্ষমতা থাকার পরও সে আপনার ইচ্ছায় প্রেমাধীন হয়ে তার গৃহদীপটি যখন জ্বালায়, তখনই তার মাঝে নারীর সৌকুমাৰ্য্য স্থান লাভ করে।
স্ত্রী এবং পুরুষের পরস্পরের প্রতি মনােভাব এই হওয়া আবশ্যক, যেন তারা তাদের সমস্ত বিশেষত্ব এবং বিশিষ্ট ক্ষমতা নিয়ে একজন অপরকে সাহায্য করেন। আইডিয়া এক না হলেও ভালবাসা জন্মায় এবং সর্বত্র আইডিয়া একও হয় না; কিন্তু দেই ছাড়া মনের দিক থেকে সঙ্গ পাবার মানুষের মনে একটি তৃষ্ণা রয়েছে। স্ত্রীলােকের শিক্ষা, স্ত্রীলােকের Outlook যদি শিশুকাল থেকে বিভিন্নভাবে গড়ে তুলবার চেষ্টা হয়, তবে মনের এ তফা নিৰ্ব্বাণ হবে কি করে? sex ছাড়া পরিচ্ছিন্ন বন্ধুত্বের আকাঙক্ষা তৃপ্ত করতে হলে, নারীর নারীত্ব ছাড়া বিশ্বমানবের আদর্শের সঙ্গেও পরিচিত হতে হবে।