মানচিত্র প্রসঙ্গে মানচিত্র থাকা চায়। মানচিত্র থাকা উচিত। ছোট-বড় সকল শিক্ষার্থীদের জন্য মানচিত্র খুব জরুরী। মানচিত্র কেবল কতগুলো রেখা নয়। মানচিত্র একটি পূর্ণ পরিচয়। আমার দেশ, আমার বিশ্ব, আমার ভূ-মন্ডল সব কিছু জেনে নিতে চাই আমি। মানচিত্র আমাকে জানিয়ে দেয় আমারই বিশ্বলোকের সর্ব সংবাদ। আমার দেশ মানে কেবল দেশ মৃত্তিকা নয়। আমার দেশ কেবল সমুদ্র নয়্ যা কিছু আছে আমার দেশে, সবার খবরই জানিয়ে দেবে আমার দেশের মানচিত্র। আমার নদী, বৃক্ষ, পর্বত, মৃত্তিকার গহবর, শিল্প, প্রাণী, জলপথ, স্থলপথ এবং মানুষ সকলের বৃত্তান্ত নিয়েই মানচিত্র।
এ মানচিত্র গ্রন্থে বাংলাদেশ আছে বিস্তৃত সংবাদ নিয়ে। এ দেশের ভূগোল, পরিবেশ, রাষ্ট্রনীতি, প্রকৃতি, উন্নয়ন, সাগর, পাহাড় এমন কি সাহিত্য সংস্কৃতির বিচিত্র সংবাদমালার বহু বর্ণে সজ্জিত হয়েছে এই মানচিত্র। এতকাল প্রকৃতি ও রাজনীতি ছিল মানচিত্রে। এবারই প্রথম এল মানচিত্রে মুক্তিযুদ্ধ। এ মানচিত্রে বাংলাদেশ আছে পূর্ণতর আয়োজনে।
আমাদের কোমলমতি শিশুদের ভূ-গোল সম্বন্ধে সঠিক ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি তাদেরকে আন্তরিক দেশানুরাগে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এ মানচিত্র গ্রন্থটি চিত্রিত করেছি। বিশিষ্ট ভুগোলবিদ ও সমাজ সংস্কৃতিবিদরা এ মানচিত্র রচনার কাজে আন্তরিকভাবে সাহায্য করেছেন। সকলকে আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমাদের এই মানচিত্র যদি শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে তবেই আমাদের শ্রম সার্থক।
আবু হানিফ কুমিলা জেলার আদর্শ সদর থানার বানাশুয়া গ্রামের মানুষ। তাঁর পিতা জনাব ফখরুজ্জামান একজন সম্ভান্ত এবং আদর্শ শিক্ষক। বাবা চেয়েছিলেন, ছেলে আইনজীবী হবে, কিন্তু ছেলে হয়েছেন সাহিত্যের ছাত্র । আবু হানিফ বাংলাভাষা ও সাহিত্যে এম.এ। জনাব হানিফ যথার্থ সাহিত্য রস বিমুগ্ধ ব্যক্তি। অবিরাম পড়েন তবে লেখ্রেন কম । যখন লেখেন, যত্ন নিয়ে লেখেন। শিশুদের জন্য সাহিত্য রচনা তার নেশা। আদর্শ পাঠ্যবই সম্পাদনাতে তার ঝোঁক। দশটি শিশুতােষ বই লিখেছেন। মনে-প্রাণে বাঙালি, বাংলাদেশ তার কাছে পবিত্র মাতৃভূমি । মুক্তিযুদ্ধকে অন্তরে অন্তরে গেঁথে নিয়েছেন আবু হানিফ।