বিহার প্রদেশের ধানবাদ জেলার কাতরাসগড়-এর জমিদার এবং কয়লা খনির মালিক ও ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম। তিনি তাঁর জমিদারির জঙ্গলমহলে প্রায়শই শিকার এবং শিকার ক্যাম্প করতেন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে। এই সময় আমরা (আমার জ্যাঠতুতো ভাইদের) একসঙ্গে শিকার ক্যাম্প-এ যেতাম। এবং শিকার করা কীভাবে হয় তা দেখতাম। ঠাকুরদার বন্ধু-বান্ধবদের অনেকেরই জমিদারির মধ্যে জঙ্গল ছিল এবং এই সব অঞ্চলেও শিকার ক্যাম্প বসত । শিকারের নানারকম সরঞ্জাম যেমন বন্দুক এবং রাইফেল দেখার ও ব্যবহারের নিয়ম ছোটবেলা থেকেই শেখা। • বন্দুক চালানোর সবরকম বিধি প্রথমে বাড়ির বড়দের কাছ থেকে শিখে পরে রাইফেল ক্লাবের মধ্য দিয়ে Precesion shooting সম্বন্ধে বিশেষ আগ্রহ জন্মায়। পরবর্তীকালে ভারতের হয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক কম্পিটিশনে যোগ দিই এবং এশিয়ান গেমস ’৮২ সালে ট্র্যা ইভেন্টে রৌপ্য পদক পাই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী রাজীব গান্ধীর Combat Shooting "Prime minister's Cup” অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই অনুষ্ঠানের টেকনিক্যাল দিকের তত্ত্বাবধান আমার উপর ন্যাস্ত হয়। কিছুদিন Sports Authority of India র তাগলোকাবাদ Shooting Ranger এর Administrator হিসাবে কাজ করি। এখানে বলা দরকার যে সবরকম শিকার ১৯৬৯ সালের আগে পর্যন্ত বৈধ ছিল। অবশ্য শিকারের Permit নিয়ে। ১৯৭০ সালের পর ভারতবর্ষে সবরকমের শিকার বন্ধ এবং বৈধ নয়।