"প্রকৃতিপাঠ" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ‘প্রকৃতিপাঠ’ গ্রন্থটির শিরােনাম থেকেই এ বইয়ের মূল বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় । বইয়ের সবটুকু জুড়েই যে প্রকৃতির নানান উপাদান ছড়িয়ে আছে, তাতে কোনাে সন্দেহ নেই । লেখক এই বইয়ের মাধ্যমে আমাদের চারপাশের বর্ণিল জগৎকে ছােটদের জন্য আরাে বর্ণময় করে উপস্থাপন করেছেন। তবে অনেক কথার ভিড়ে যে কথাটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তা হলাে প্রকৃতিকে ভালােবাসার কথা। কারণ প্রকৃতিকে ভালাে না বাসলে আমাদের বেঁচে থাকাই দায়। প্রকৃতির বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে অন্যতম হল গাছপালা । গাছের সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং দরকারি দুটি দিক হল ফুল ও ফল। আপাত দৃষ্টিতে ফুল প্রকৃতির আলঙ্কারিক অনুষঙ্গ হলেও পৃথিবীর প্রাণবৈচিত্র্যের সঙ্গে এর গভীর সংযােগ । কারণ একটি প্রস্ফুটিত ফুলের ভূমিকা বহুবিধ । আমরা হয়তাে প্রাথমিকভাবে ফুলের রূপ-গন্ধ থেকে মনের খােরাক পাই, কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে একদিকে সে যেমন তার বংশ পরম্পরার দিকে এগিয়ে যায় অন্যদিকে জীবজগতের অন্ন সংস্থানও নিশ্চিত করে। আমাদের চারপাশের অনবদ্য এই প্রকৃতির নানান কথামালা দিয়েই সাজানাে হয়েছে প্রকৃতিপাঠ বইটি। প্রকৃতিকে চিনতে, জানতে এবং ভালােবাসতে বইটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস ।
জন্ম মাতুলালয়ে, ৩০ অক্টোবর। বাবা : একেএম ফজলুল করিম, মা : মনোয়ারা বেগম। গ্রাম : লক্ষণপুর, পোস্ট : ভবানীজীবনপুর, উপজেলা : বেগমগঞ্জ, জেলা : নোয়াখালী। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা। একযুগেরও বেশি সময় দৈনিক প্রথম আলোয় ‘প্রকৃতি’ কলামে লিখছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৮। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : বাংলাদেশের নদী, বর্ণমালায় বাংলাদেশ, বিশ্বের সেরা দর্শনীয় স্থান, বাংলাদেশের মেলা, ঘুরে আসি বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ফুল ও ফল, জীবনের জন্য বৃক্ষ, বিপন্ন প্রজাতির খেরোখাতা, প্রকৃতি ও প্রাণসম্পদ (সম্পাদনা), বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, ঋতুর রঙে ফুলের শোভা, আমাদের সবুজ বন্ধুরা, ভোরের ফুল সন্ধ্যার পাখিরা, আমাদের পার্ক ও উদ্যান, ছয় রঙের বাংলাদেশ, বাংলার শত ফুল, জীবনানন্দ দাশের রূপসী বাংলার পুষ্প-বৃক্ষ ইত্যাদি। পরিবেশসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে কাজী কাদের নওয়াজ স্বর্ণপদক, ১৪০৮ ও ১৪১০ সালে অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১১ সালে এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। নেশা ছবি তোলা ও ভ্রমণ।