ভূমিকা বাণী পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকেই উচ্চারিত হয়ে আসছে। তুবে বহু ধর্ম গ্রন্থের বাণী এককভাবে সংকলিত তেমন হয়নি। আমরা এ বইটিতে বিশেষ বিশেষ ধর্ম গ্রন্থের বাণী সংকলন করেছি। এছাড়া বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মনীষীদের বাণীও ষংকলিত হয়েছে। এ বইটিতে যে সকল বাণী সংকলিত হয়েছে, তার সবই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই বাণী সমৃদ্ধ গ্রন্থটির নাম বাণী চিরন্তনী। তবে সব ধরনের বাণী দৈনন্দিন জীবনের কাজে নাও লাগতে পারে। প্রতিটি গ্রন্থ বাণী দ্বারা গ্রথিত। কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ বাণী আছে, যা মানুষের জানা একান্ত প্রয়োজন। জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হলে মানুষকে ধর্মগ্রন্থ এবং মহামনীষীদের বক্তব্য শোনা এবং জানা প্রয়োজন।
বিশিষ্ট লেখকদের গ্রন্থ পড়লে জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করা যায়। শিক্ষার কোন শেষ নেই। কিন্তু আমাদের জ্ঞানের গভীরতা এতই কম যে, আমরা বেশি বই পড়তে পারি না। হয়তো সময়ও সকলের হয়ে উঠে না। কিন্তু বাণী চিরন্তনী বইটি পড়লে একাধিক বইয়ের মূল বক্তব্য পেয়ে যাবেন। স্মরণীয় বাণীগুলো মনের মধ্যে গেঁথে রাখলে অনেক সহজ হবে আপনাদের চলার পথ। মানুষেকে বোঝানোর জন্যেই সৃষ্টিকর্তা এবং বিশ্বের বড় বড় মনীষীরা নানাভঅবে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। সে বক্তব্য অনুসারে বাণী সংকলিত হয়েছে।
গ্রন্থটি পড়লে আপনারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন গ্রন্তটির গুরুত্ব কতটুকু। একদিকে গ্রন্থটি পড়ে আপনি নিজের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারবেন, সেই সাথে অ্যেকেও বোঝাতে পারবেন। অনেক ক্ষেত্রে আপনার ভুল সংশোধনের জন্যে গ্রন্থটি বিশেষ কাজে লাগবে। অন্যের ভুলকে আপননি শুধরে দিতে পারবেন। যারা রাজনীতি করেন, কিংবা মঞ্চে রাজনৈতিক বক্তব্য দেন, তাদের জন্যে গ্রন্তটির বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।
এ গ্রন্থটি আপনার সংগ্রহে রাখার বিশেষ প্রয়োজন। কেননা, আপনার মনের কথাগুলোও এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। গ্রন্থটি পড়লে আপনা মতামতের স্বপক্ষে এবং বিপক্ষের বক্তব্যগুলোকে পাশাপাশি দাঁড় করাতে পারবেন।
আপনার ভাল মন্দ, পাপ পূণ্য, সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না, সত্য-মিথ্য, জানা-অজানা, প্রেম-ভালবাসার বাণীগুলো এ গ্রন্থটিতে সংকলিত হয়েছে। এ বইটিতে মহামনীষী; বিশিষ্ট রাজনৈতিক, বিজ্ঞানী, ঔপন্যাসিক, সাধক, গবেষকদের বক্তব্য এবং বিভিন্ন বচন তুলে ধরা হয়েছে। বচনগুলো চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। অনেক ক্ষেত্রে কোনটি কার বচন তা কেউ বলতে পারে না। তবে বচনগুলোর সাথেন মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের যেমন গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি রিয়েছে শিক্ষণীয় অনেক উপকরণ।