“শিক্ষা মনোবিজ্ঞান ও নির্দেশনা" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে সবচেয়ে বিচিত্র মানুষের মন। মনের এ বৈচিত্র্যতার কারণেই মনােবিজ্ঞানের পরিধিও বৈচিত্র্যতায় ভরপুর। এরূপ বৈচিত্র্যপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর কোন পুস্তক রচনার প্রচেষ্টা রীতিমত একটি দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। সেই দুঃসাহসিক কাজেই আমরা অগ্রসর হয়েছি “শিক্ষার মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তি ও শিক্ষায় নির্দেশনা” পুস্তকটি রচনার উদ্যেগ নিয়ে। তবে সান্তনার কথা মনােবিজ্ঞানের মত একটি বিজ্ঞানমনস্ক পুস্তক যত না রচনার কাজ, তার বেশি সম্পাদনার। কারণ এখানে সিলেবাস সন্নিবেশিত সুনির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কোন বিশেষ লেখকের মৌলিক রচনা ও মতামত প্রকাশের সুযােগ কম। এসব দিক লক্ষ্য রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সিলেবাস অনুসারে বি.এড প্রশিক্ষণার্থীদের চাহিদার নিরিখে বিভিন্ন মৌলিক মনােবিজ্ঞান রচয়িতাগণের পুস্তক থেকে চয়ন করে আমরা সুচিন্তিতভাবে বিষয়ানুসারে তত্ত্ব ও তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি মাত্র। কতটুকু সফল হয়েছি সে বিচার আপনাদের। তবে “শিক্ষার মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তি ও শিক্ষায় নির্দেশনা” নামের এ পুস্তকখানি যাতে প্রশিক্ষণার্থীদের চাহিদা পূরণে বিশেষভাবে সহায়ক হয়, সে জন্য আন্তরিক চেষ্টার কোন ত্রুটি করিনি। সহজ ও সাবলীলভাবে রচিত এ পুস্তকখানি প্রশিক্ষণার্থীদের মনােবিজ্ঞানভীতি দূর করে তাদের নিকট এ বিষয়টিকে অত্যাধিক আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে আশা রাখি।