অধুনা সবকছিুতইে বাড়াবাড়ি ও শিথিলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। দীনি ও দুনিয়াবি উভয় ক্ষেত্রে। বিশেষত দীনি বিষয়ের স্বীকার হচ্ছে খুব বেশি। মনে করুন, একটি আমল; ইসলামে যার গুরুত্ব অপরিসীম। অবর্ণনীয়। কিন্তু মানুষ এর ওপর আমল করবে তো দূরে থাক; শিথিলতা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে, অনেকে এটাকে জায়েযও মনে করে না। এর বিপরীত একটি আমল; যার গুরুত্ব ইসলামে তুলনামূলক কম। জায়েয বা মুস্তাহাব। কিন্তু মানুষ এর ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে। বাড়াবাড়ি এত বেশি হয় যে, গুরুত্ব দিতে দিতে একে ওয়াজবি বা ফরজরে র্পযায়ে নিয়ে যায়। অথচ তা মুস্তাহাবরে চেয়ে বেশি কিছু নয়। এ বাড়াবাড়ি ও শিথিলতা শবে বরাত, শবে কদর, শবে মেরাজ এবং এ জাতীয় অন্যান্য ফজলিতর্পূণ রাতের বেলায় একটু বেশিই পরদিৃষ্ট হচ্ছে। কিছুলোক মনে করে, এ রাতগুলোই সব। এতে ইবাদত করলেই দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম হয়ে যাবে। অন্যকছিুর প্রয়োজন নেই। আবার অনেকে বলে, এসবের কোনো ফজলিত কুরআন ও হাদিসে নেই। অথচ ইসলাম বাড়াবাড়ি ও শিথিলতামুক্ত মধ্যমপন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়। ইহাই সিরাতে মুস্তাকিম। সহজ-সরল ও সঠিক পথ। কুরআন ও হাদিসে মোট সাত ধরনের রাতের ফজলিত বর্ণিত হয়েছে : ১. জুমুআর রাত্রি ২. রজবের প্রথম রাত্রি ৩. মেরাজের রাত্রি ৪. বরাতের রাত্রি ৫. কদরের রাত্রি ৬. ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার রাত্রি ৭. জিলহজের প্রথম দশ রাত্রি। এ রাতগুলোর ফজলিত, তাতে আমল করার পদ্ধতি এবং এসব রাতে কোন কাজ করা বিদআত কিংবা উচিত নয়। একসাথে এতসব বিষয় খুব কমসংখ্যক কিতাবে উল্লখে রয়েছে। খুশির কথা, প্রথতিযশা আলেম ও লেখক মাও. নাইমুদ্দিন দা.বা. ‘ফজলিত কী রাতে ফাজায়লে ওয়া মাসায়লে’ নামক একটি রিসালা প্রণয়ন করেন। বলতে দ্বিধা নেই, এ বিষয়ে রচিত সবচেয়ে তথ্যবহুল ও সহিহ হাদিসনির্ভর এক অনন্য কিতাব এটি। লেখক শবে বরাত, শবে মেরাজ ইত্যাদি ফজলিতময় রাত সর্ম্পকে বহু হাদিস একত্রিত করেছেন; যা হাদিসের বিশাল ভাণ্ডারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। তৎসঙ্গে প্রসদ্ধি সাহাবা, খ্যাতিমান তাবেয়ি, আকাবির ওলামা এবং বুর্যুগানে দীনরে বক্তব্য ও আমলও উল্লখে করেছেন। ফলে পুণ্যময় রজনী সর্ম্পকে একটি স্বচ্ছ, সত্য ও তথ্যনর্ভির ধারণা লাভ হয়। পাশাপাশি এ রাতগুলোতে কী কী বিদআত, রুসম ও কুসংস্কার মানুষে পালন করে তারও বিশদ র্বণনা দিয়ে এগুলোকে কুরআন-হাদিসের আলোকে ও যুক্তির নিরিখে জোড়ালোভাবে খণ্ডন করছেনে এবং পরিশেষে নফল নামাযসমূহের ফজলিত এবং তা পড়ার পদ্ধতিও সহিহ হাদিসের আলোকে বর্ণনা করেছেন।