বিরুদ্ধে লামা সাফুয়া যা কিছু বলেছে—সে সবই মিথ্যা কথা, তাও তোমাকে জানিয়ে দিলাম। এখন তোমার মনে যেসব ভাব জাগছে—সে আসল অনুতাপ নয়। একদিন আসবে যেদিন তোমাদের উভয়ের জীবনেই অনুতাপের আগুন জ্বলে উঠবে। তখন যদি পারো দেহমনের শুদ্ধির জন্য সমুচিত কৃচ্ছ্রসাধনায় ভক্তিপথের কৃত্য কোরো। পুরোপুরি না পারলেও এই ধরনের পাপ থেকে বিরত হওয়ার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা কোরো। আমার কাছে ও আমার ভক্তগণের কাছে সকাতরে পাপমুক্তির জন্য প্রার্থনা কোরো, এই আমার শেষ উপদেশ। কি বলো, আমার কথা রাখবে তো?' অশ্রু-বিগলিত নয়নে মেয়েটি বললো, “নিশ্চয়ই রাখবো; কিন্তু সে প্রেরণা সে শক্তি আপনাকেই দিতে হবে।' এ-কথার সরাসরি কোন উত্তর না দিয়ে মিলা যেন নিজের মনেই বললেন, ‘কোন সহায়তা না পেলে নিজের সাধ্যে এগিয়ে যেতে এদের যে যুগযুগান্ত কেটে যাবে : দুঃখের যে আর অবধি থাকবে না। এ দুজনের দুষ্কৃতির বোঝাও যে আমারই দায়; আমি না বইলে · এ বোঝা আর কে বইবে।' তারপরে সেই হতভাগিনী রমণীর দিকে ফিরে বললেন, ‘তোমাদের এ পর্যন্ত দুষ্কর্মের দায় আমি নিলাম, কিন্তু আমার একটি আদেশ স্মরণে রেখো; এই ঘটনার কথা আমার জীবিতকালে যেন কেউ না জানে। আমার অন্য কোন কথা যদি স্মরণে না রাখো, নিজেদের স্বার্থে আমার এই কথাটি রেখো। শেষ পর্যন্ত এ-কথা গোপন থাকবে না—একদিন সত্য কথা সবাই জানবে, কিন্তু তোমরা নিজের মুখে এ ঘটনার উল্লেখ না করলেই হল।’