ভূমিকা ‘সবার জীবনেই একটা করে এক্স থাকে, কেউ সেটাকে নিয়ে বাঁচে। কেউ সেটাকে ছাড়া।' সবকিছুরই একটা অতীত থাকে, সবকিছুরই থাকে একটা পুরনো গল্প। নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘প্রাক্তন' ছবিটিরও একটা অতীত রয়েছে। রয়েছে তার তৈরি হওয়ার গল্প । ‘প্রাক্তন’-এর শুভার্থীদের কাছ থেকে সেই গল্প লুকিয়ে রাখা নেহাতই অন্যায় হবে। শুধুমাত্র আপনাদের জন্য স্ক্রিপ্টের পাশাপাশি তাই থাকছে প্রাক্তন তৈরির গল্পও। বেলাশেষে তখন রমরমিয়ে চলছে। প্রেক্ষাগৃহ থেকে উপচে পড়ছে ভিড়। ঠিক এইরকম সময়ে ঘরোয়া এক আড্ডায় দীর্ঘ ১৫ বছরের মনোমালিন্য ভুলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সিদ্ধান্ত নিলেন নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরেই পুনরায় একসাথে রূপোলি পর্দায় ফিরে আসার। পরিচালকদ্বয় অনুভব করলেন, জনপ্রিয় এই জুটির কামব্যাকের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ছবির গল্পটাও জোরদার হওয়া প্রয়োজন। তাই ২০০৩ সালে নন্দিতা রায়ের লেখা 'জার্নি’ গল্পটাকেই বেছে নিয়ে শুরু হল চিত্রনাট্য তৈরির কাজ। পরে ‘জার্নি' নাম পরিবর্তন করে ছবির নাম দেওয়া হয় ‘প্রাক্তন'। ২০১৫-এর ১৩ই আগস্ট ‘বেলাশেষে’-র ১০০ দিন পূর্তির উৎযাপন সন্ধ্যায়, প্রথমবার ঘোষিত হয় পরিচালক যুগলের পরবর্তী ছবি ‘প্রাক্তন’-এর নাম। সেই সঙ্গে ঘোষিত হয় এই ছবির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এবং প্রায় অসাধ্য সাধন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জুটিকে একসাথে রূপোলি পর্দায় ফিরিয়ে আনার কথাও।