"ভ্রমণ সমগ্র-১" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথাঃ বাংলা ভ্রমণ-সাহিত্যের মননশীল ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য নাম হাসনাত আবদুল হাই। উনিশশো ষাট সালে পকেটে দশ ডলার আর প্রবাস জীবনের কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই ইটালীর রোম হয়ে লেখক উপস্থিত হয়েছিলেন নিউইয়র্কের আইডল ওয়াইল্ড বিমান বন্দরে। যাত্রার শুরু থেকেই বিদেশের পটভূমিতে তিনি যা অর্জন করেছিলেন তার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মানুষ, মানুষের বিভিন্ন সৃষ্টি আর পারিপার্শ্বিক। প্রথম প্রবাস জীবনে যেমন ছিল, পরবর্তীকালেও বিভিন্ন দেশের পটভূমিতে লেখকের কৌতূহলী মন আর খোলা চোখে ধরা পড়েছে চলমান জীবনের খণ্ড ছবি, পারিপার্শ্বিকের চালচিত্র যেখানে তিনি কখনো শ্রোতা, কখনো দর্শক আবার কখনো ঘটনার অন্তর্গত বিষয়, যার সমন্বয়ে ভ্রমণ সমগ্রের এপিসডিক বর্ণনা পেয়েছে কাহিনীর সমগ্রতা। হাসনাত আবদুল হাই-এর ভ্রমণ কাহিনী একেকটি ছবির এ্যালবাম বিচিত্র দৃশ্য আর নানা মানুষের এক বিশাল ক্যালাইডোস্কোপ পড়তে পড়তে অতীত ফিরে আসে বর্তমানে, মানুষেরা কথা বলে সজীব হয়ে। শব্দ-বর্ণ-দৃশ্য-গন্ধের যে সমাহার অক্ষরের শৃঙ্খলে বরফ-জমাট তারা মুক্তি পেয়ে চঞ্চল করে দেয় পঞ্চেন্দ্রিয়। যারা লেখকের মতো সৌভাগ্যবান হয়ে দেশ-দেশান্তরে ভ্রমণের সুযোগ পাননি তাদেরকে লেখকের ভ্রমণ-সঙ্গী করার উদ্দেশ্য নিয়েই এসব ভ্রমণ-কাহিনী তিনি লিখেছেন। লেখকের অভিজ্ঞতার কিছুটা পাঠককে দিতে চেয়েছেন তিনি। ভেবেছেন আরামকেদারায় বসেই পাঠক পেরিয়ে যাকনা সাত সমুদ্র তের নদী। এভাবে হাসনাত আবদুল হাই-এর ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে অনেকের অভিজ্ঞতা। বুক ক্লাব হাসনাত আবদুল হাই-এর ভ্রমণবিষয়ক সমস্ত লেখা নিয়ে তিন খণ্ডে ‘ভ্রমণ সমগ্র’ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। ভ্রমণ সমগ্র’-এর প্রথম খণ্ডে জর্নাল '৮৯' এবং সাফারি, অন্তর্ভুক্ত করা হল প্রকাশকালের ধারাবাহিকতায়।
"ভ্রমণ সমগ্র-২" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথাঃ বাংলা ভ্রমণ-সাহিত্যের মননশীল ধারায় একটি উল্লেখযোগ্য নাম হাসনাত আবদুল হাই। উনিশশো ষাট সালে পকেটে দশ ডলার আর প্রবাস জীবনের কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই ইটালীর রোম হয়ে লেখক উপস্থিত হয়েছিলেন নিউইয়র্কের আইডল ওয়াইল্ড বিমান বন্দরে। যাত্রার শুরু থেকেই বিদেশের পটভূমিতে তিনি যা অর্জন করেছিলেন তার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মানুষ, মানুষের বিভিন্ন সৃষ্টি আর পারিপার্শ্বিক। প্রথম প্রবাস জীবনে যেমন ছিল, পরবর্তীকালেও বিভিন্ন দেশের পটভূমিতে লেখকের কৌতূহলী মন আর খোলা চোখে ধরা পড়েছে চলমান জীবনের খণ্ড ছবি, পারিপার্শ্বিকের চালচিত্র যেখানে তিনি কখনো শ্রোতা, কখনো দর্শক আবার কখনো ঘটনার অন্তর্গত বিষয়, যার সমন্বয়ে ভ্রমণ সমগ্রের এপিসডিক বর্ণনা পেয়েছে কাহিনীর সমগ্রতা। হাসনাত আবদুল হাই-এর ভ্রমণ কাহিনী একেকটি ছবির এ্যালবাম বিচিত্র দৃশ্য আর নানা মানুষের এক বিশাল ক্যালাইডোস্কোপ পড়তে পড়তে অতীত ফিরে আসে বর্তমানে, মানুষেরা কথা বলে সজীব হয়ে। শব্দ-বর্ণ-দৃশ্য-গন্ধের যে সমাহার অক্ষরের শৃঙ্খলে বরফ-জমাট তারা মুক্তি পেয়ে চঞ্চল করে দেয় পঞ্চেন্দ্রিয়। যারা লেখকের মতো সৌভাগ্যবান হয়ে দেশ-দেশান্তরে ভ্রমণের সুযোগ পাননি তাদেরকে লেখকের ভ্রমণ-সঙ্গী করার উদ্দেশ্য নিয়েই এসব ভ্রমণ-কাহিনী তিনি লিখেছেন। লেখকের অভিজ্ঞতার কিছুটা পাঠককে দিতে চেয়েছেন তিনি। ভেবেছেন আরামকেদারায় বসেই পাঠক পেরিয়ে যাকনা সাত সমুদ্র তের নদী। এভাবে হাসনাত আবদুল হাই-এর ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে অনেকের অভিজ্ঞতা। বুক ক্লাব হাসনাত আবদুল হাই-এর ভ্রমণবিষয়ক সমস্ত লেখা নিয়ে তিন খণ্ডে ‘ভ্রমণ সমগ্র’ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। ভ্রমণ সমগ্র’-এর প্রথম খণ্ডে জর্নাল '৮৯' এবং সাফারি, দ্বিতীয় খণ্ডে ‘ট্রাভেলগ’ দুখণ্ড অন্তর্ভুক্ত করা হল প্রকাশকালের ধারাবাহিকতায়।
Hasnat Abdul Hye জন্ম ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে, কলকাতায় । পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার সৈয়দাবাদ গ্রামে। স্কুল শিক্ষা কলকাতা, যশোর, ফরিদপুর শহরে। কলেজ শিক্ষা ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিকস এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা । ১৯৬৫ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর প্রাক্তন পাকিস্তান সরকার এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। হাসনাত আবদুল হাই ছাত্র জীবন থেকে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে ছোটগল্প রচনার মাধ্যমে। ছোটগল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ-কাহিনী, শিল্প ও সাহিত্য সমালোচনা এবং নাটক এই সব শাখায় স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেছেন চার দশকের অধিককাল ।বাংলা এবং ইংরেজিতে একটি কবিতার বই লিখেছেন জাপানে প্ৰবাস জীবনে। প্ৰকাশিত ছোটগল্প গ্রন্থের সংখ্যা পাঁচ, উপন্যাস পঁচিশ এবং ভ্ৰমণ-কাহিনী ছয় । সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন অলক্ত পুরস্কার, মোহাম্মদ আকরম খাঁ বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। তাঁর লেখা উপন্যাস সুলতান ডাবলিন আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।