সূচনা বর্তমান বিশ্বে যেকোনো প্রতিষ্ঠান, সেটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান― যেরকমই হোক না কেন, ওয়েব জগতে তার উপস্থিতি থাকা চাই। আর সেই উপস্থিতি জানানোর উপায় হচ্ছে ওয়েবসাইট। ইন্টারনেটে কাজের-অকাজের কত কত ওয়েবসাইট যে রয়েছে, তা গুনে শেষ করা যাবে না। তারপরেও নিত্য-নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। কোনো ওয়েবসাইটে মানুষ সরকারি সেবা নিচ্ছে, কোনো ওয়েবসাইটে খেলার আপডেট দেখছে, কোনো ওয়েবসাইটে সংবাদ পড়ছে, আবার কোনো ওয়েবসাইটে বাসের টিকেট কেটে ফেলছে। এরকম কত কাজ যে ওয়েবসাইটে গিয়ে এখন মানুষ করে, তা আমাদের কল্পনার বাইরে। ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অনেক রকম পদ্ধতি রয়েছে। কোনো পদ্ধতি সহজ, কোনো পদ্ধতি জটিল। কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করে সাদামাটা ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, আবার কোনো কোনো পদ্ধতিতে অনেক বেশি ফিচারসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ওয়েবসাইট তৈরির কাজটিকে সহজ বানানোর জন্যও নানান রকম টুলস তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিএমএস (CMS) বা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Content Management System)। সিএমএস হচ্ছে ওয়েবভিত্তিক একটি সফটওয়্যার যা দিয়ে খুব সহজেই ওয়েবসাইট তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, বিভিন্ন নতুন ফিচার যোগ করা যায়। সিএমএসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সিএমএস হচ্ছে “ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)”। এই মুহূর্তে বিশ্বের কয়েক কোটি ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরি।
বইটি কাদের জন্য প্রযুক্তির জগতের বাইরের মানুষের ধারণা, ওয়েবসাইট তৈরি করা না জানি কত কঠিন কাজ। যাদের মনে এই ভয়, মূলত তাদের জন্য এই বইটি লেখা। ওয়েবসাইট তৈরি করার খরচ কত বা একটি ওয়েবসাইটে কী কী উপাদান থাকতে পারে বা থাকা উচিত তাও অনেকের অজানা। কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করলে সেই ওয়েবসাইট যদি জনপ্রিয় হওয়া শুরু হয়, তখন চলে আসে অপটিমাইজেশন (optimization)-এর ব্যাপার। ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বেশি সংখ্যক মানুষ যেন এই ওয়েবসাইটটি একই সময়ে ব্রাউজ করতে পারে এবং ব্রাউজারে যেন ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ খুব দ্রুত লোড হয়। এই বইটি পড়লে একটি ওয়েবসাইট কীভাবে সহজে তৈরি করা যায় তা যেমন জানা যাবে, তেমনি ওয়ার্ডপ্রেসের আরো কিছু খুঁটিনাটি, বিশেষ করে বিভিন্ন প্লাগিন ব্যবহার করে ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন কীভাবে করতে হয়, সেটিও জানা যাবে। এই বইতে উদাহরণ হিসেবে রান্নার রেসিপি (recipe)-এর ওয়েবসাইট কীভাবে বানানো যায় তা দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স (Google Adsense) কীভাবে যোগ করা যায় সেটিও দেখানো হয়েছে। আর তারপর দেখানো হয়েছে ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন। এই বইতে ওয়ার্ডপ্রেসের যেসব কাজ দেখানো হয়েছে, সেগুলো করার জন্য প্রোগ্রামিং জানার কোনো প্রয়োজন নেই। এই প্রোগ্রামিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরির বইয়ের বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য আছে― • খুব সহজে কীভাবে নিজের দরকারি ওয়েবসাইট বানানো যায় সেটি দেখানো। • প্রোগ্রামিং ছাড়াই কিছু ওয়েব টুলস কীভাবে ব্যবহার করতে হয়। • প্রোগ্রামিং এর প্রতি আগ্রহ তৈরি করা। যদি প্রোগ্রামিং ছাড়াই ওয়েবসাইট বানানো সম্ভব হয়, তাহলে প্রোগ্রামিং জানলে না জানি কত কিছু করা সম্ভব! সূচীপত্র লেখক পরিচিতি সূচনা • বইটি কাদের জন্য অধ্যায় ১ : ওয়েবসাইট, ডোমেন ও হোস্টিং • ওয়েবসাইট (Website) কী • ওয়েবসাইটের নাম ― ডোমেইন নাম • ওয়েবসাইট হোস্টিং (Hosting) • ইন্টারনেট • ডোমেইন এবং হোস্টিং কীভাবে পাবেন
অধ্যায় ২ : ওয়েবসাইটে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করা • Bluehost-এ শুরু থেকে login করা অধ্যায় ৩ : ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি • ওয়েবসাইটে নতুন পোস্ট যোগ করা • ওয়েবসাইটে নতুন ক্যাটেগরি তৈরি করা • ওয়েবসাইটে নতুন পেজ (Page) তৈরি করা • ওয়েবসাইটে মেনু (Menu) তৈরি করা • ওয়েবসাইটে নতুন ছবি ও ভিডিও যোগ করা • নতুন ব্যবহারকারী (User) রেজিস্টার করার উপায় • ওয়েবসাইটের পোস্টে মন্তব্য নিয়ন্ত্রণ করা • এসইও (SEO)/সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব লিঙ্ক তৈরি করা • ওয়েবসাইটের থিম বাছাই এবং ইনস্টল করা • ওয়েবসাইটে উইজেট (Widget) তৈরি করা
অধ্যায় ৪ : ওয়েবসাইটে প্লাগিন যোগ করা এবং অপটিমাইজেশন • প্রয়োজনীয় প্লাগিন কোথায় পাওয়া যায় • Google Adsense (গুগল অ্যাডসেন্স) প্লাগিন • WP Super Cache প্লাগিন • Autopitimize প্লাগিন • WP Smush প্লাগিন • কোন প্লাগিনটি ভালো? আরো বেশি ওয়ার্ডপ্রেস
Title
সবার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস : ওয়েবসাইট তৈরি ও অপটিমাইজেশন
ডাকনাম : রবিন -এর জন্ম ১৯৮৪ সালের ২৭শে জুলাই ঢাকাতে। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলাসার গ্রামে। তাঁর বাবা মো:গোলাম ফারুক ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। তার মা একজন সরকারি কর্মকর্তা। স্ত্রী উম্মে কুলসুম এবং পুত্র আয়নান ফারুককে নিয়ে তিনি বর্তমানে সুইডেনে বসবাস করছেন। লেখাপড়া করেছেন আইডিয়াল স্কুল, নটর ডেম কলেজ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বুয়েট)-এ। ২০০৭ সালে বুয়েট থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পাস করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বিভিন্ন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে সুইডেনে Cabonline নামক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন।