"হিস্টরি অব দ্য পর্তুগিজ ইন বেঙ্গল" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ষােল শতকের শুরুর দিকে পশ্চিম ভারত, শ্রীলংকা ও মালয়েশিয়া থেকে পর্তুগিজরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বাংলার দিকে। সাতগাঁও ও হুগলিতে নিজেদের বসতি থেকে তারা বিরাট বাণিজ্য গড়ে তােলে। ১৬৩২ খ্রিস্টাব্দে শাহজাহান -হুগলি দখল করেন। ওলন্দাজরা এই সুযােগে পর্তুগিজ বণিকদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। অনেক পর্তুগিজ সুন্দরবন অঞ্চলে দস্যুতা শুরু করে এবং বেশ বদনাম কামায়। প্রথম ইউরােপীয় হিসেবে পুবে আগমণ ও বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনকারী হিসেবে পর্তুগিজদের মর্যাদা ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে শুরু করে। ক্যাম্পােস তার কৌতূহলােদ্দীপক গ্রন্থে আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, পুবের বন্দরগুলােতে পর্তুগিজ ভাষা লিংগুয়া ফ্রাংকা হিসেবে ব্যবহৃত হতাে। ক্লাইভ কোনাে ভারতীয় ভাষা জানতেন না, কিন্তু অনর্গল পর্তুগিজ বলতে পারতেন। তিনি এ ভাষাতেই তার স্থানীয় বাহিনীকে নির্দেশনা দিতেন। পর্তুগিজ অভিযাত্রীরা স্থানীয়দের বিয়ে করেছে। মিশনারিরা কয়েক হাজার স্থানীয়কে রােমান ক্যাথলিক বিশ্বাসে ধর্মান্তরিত করেছিল। এদেরকে পর্তুগিজ নাম দিয়ে ব্যাপ্টাইজ করা হত। মিশ্র বিয়ে (লুসাে-ইন্ডিয়ান) ও স্থানীয় ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের (ফিরিঙ্গি) অনেক বংশধরকে এখনও বাংলায় পাওয়া যাবে। ক্যাম্পােস তার এই বিবরণী লিখতে অনেক পরিশ্রম করেছেন। তাঁর বইতে ভারতের সঙ্গে ইউরােপের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিস্তৃতভাবে আলােচিত হয়েছে। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য স্পেকটেটর-এ প্রকাশিত হিস্টরি অব পর্তুগিজ ইন বেঙ্গল গ্রন্থের রিভিউ।