“নেভার স্টপ লার্নিং” বই এর ফ্ল্যাপ: আমাদের অধিকাংশই বই বলতে মূলত দুরকমের বইকে বুঝি! একটা পাঠ্যবই অন্যটা গল্পের বই। হাজারো ফিকশনের ভীড়ে আমরা আজকাল অন্য কোনও বিষয় নিয়েও যে লেখা যেতে পারে তা ভুলতেই বসেছি। বই পড়ে আমরা আমাদের কল্পনাশক্তি সৃজনশীলতা ইত্যাদি গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে পারি। কেমন হতো যদি বই পড়ে বদলে ফেলা যেত নিজেকে? শেখা যেতো হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার, অপরিচিত কারও সাথে প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বলার কিংবা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মতো দারুণ এবং বাস্তব জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিছু কৌশল। 'Never Stop Learning' বইটিতে সংক্ষেপে বর্ণিত আছে তেমনি কিছু আইডিয়া যেগুলো বর্তমান প্রজন্মের পাঠকদের কল্পনা আর সৃজনীশক্তির বিকাশের পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও উন্নয়নে সহায়ত করবে!
“নেভার স্টপ লার্নিং” বই এর ভূমিকা: শেখার কোনো নির্দিষ্ট সময়, স্থান কিংবা সীমা-পরিসীমা নেই। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জানছি ও শিখছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষাও সমভাবে প্রয়োজনীয়। আর তাই, সমাজে ও কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থানকে দৃঢ় করতে আমাদেরকে বেশিকিছু কৌশল রপ্ত করতে হবে। এ কৌশল বা আইডিয়াগুলোই আমাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এ বইটিতে এমনই কিছু ছোট্ট ছোট্ট আইডিয়া, কৌশল, হ্যাক সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে যাতে করে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়াকে প্রাধান্য দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরকে দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য, কুশলী এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাটাকেও প্রাধান্য দেয় এবং প্রিয় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।
“নেভার স্টপ লার্নিং” বই এর সূচি: * ০১ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও কিছু স্বপ্নের কথা-১১ * ০২ দৃষ্টিভঙ্গী বদলালেই বদলে যাবে জীবন-১৪ * ০৩ চীনা বাঁশের গল্প -১৭ * ০৪ মাদিবা থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা।- ২০ * ০৫ আমার ভর্তি যুদ্ধের গল্প।- ২৩ * ০৬ এবার মানসিক অশান্তিকে জানাও বিদায়- ২৬ * ০৭ একটি ভিডিও বাঁচাতে পারে লক্ষ প্ৰাণ।-২৯ * ০৮ দোষটা কি আসলে তেলাপোকার?- ৩২ * ০৯ গোলাপি হাতি থেকে রক্ষা পাওয়ার রহস্য- ৩৫ * ১০ পৃথিবীর সবথেকে ভালো আইডিয়াগুলো কোথায় পাওয়া যায়?-৩৮ * ১১ সুন্দর মানসিকতা গড়ে তোলার ৬টি উপায়।-৪০ * ১২ সিজিপিএ আসলে কতটা প্রয়োজন?- ৪৩ * ১৩ মন ভালো করার টোটকা -৪৬ * ১৪ একজন বৃক্ষমানবের গল্প। -৪৯ * ১৫ সময় বাঁচানোর শতভাগ কার্যকর কৌশল।-৫২ * ১৬ ফেসবুক সদ্ব্যবহারের ৩টি কার্যকরী আইডিয়া- ৫৫ * ১৭ ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের ১০টি উপায়।- ৫৮ * ১৮ ডিজিটাল ওরিয়েন্টেশন ও একটি স্বপ্নের কথকতা -৬২ * ১৯ শিক্ষাজীবনে যে ১০টি কাজ না করলেই নয়-৬৫ * ২০ প্রতিনিয়ত করে চলেছি যে ৪টি ভুল!- ৬৯ * ২১ বিনোদনের ফাঁকে ফোকাস করো নিজের উন্নতি- ৭২ * ২২ ভোকাবুলারি জয়ের ৫টি কৌশল- ৭৫ * ২৩ অপরিচিতের সাথে কিভাবে ফোনে কথা বলবে-৭৭ *২৪ সালাম দেয়া এবং ভালা গুণের প্রশংসা করা।-৮০ * ২৫ “তোকে দিয়ে কিছু হবে না” থেকে আত্মরক্ষার কৌশল -৮৩ * ২৬ একটি কমন অভ্যাস -৮৬ * ২৭ পরিশ্রমকে হ্যা বললা। -৮৯ * ২৮ প্ৰতিযোগিতায় যে গুণ গুলো থাকা প্রয়োজন। -৯১ * ২৯ আইডিয়াকে কাজে লাগাও, সাফল্যের পথে পা বাড়াও -৯৪ * ৩০ মার্শমেলো টেষ্ট ও দুরদর্শীতা -৯৬ * ৩১ নিজেকে জানো। -৯৮ * ৩২ কিন্তু সিজিপিএ? -১০০ * ৩৩ নিয়ন্ত্রণে রাখো নিজের সুখ -১০১ * ৩৪ হয়ে ওঠো পাওয়ার পয়েন্টের জাদুকর -১০৪ * ৩৫ টলারেন্স নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা। -১০৭ * ৩৬ চ্যাটিং করা থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, চ্যাটিং করা ভালো! -১০৮ * ৩৭ রাজার অসুখ আর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। -১১১ * ৩৮ আমার প্রথম পাবলিক পরীক্ষা আর ডোপামিন ইফেক্টের গল্প -১১৩ * ৩৯ বিশ্ববিদ্যালয় জীবন গড়ে তোলে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম দিয়ে -১১৬ * ৪০ Sunk Cost-কে ‘না’ বলো, সাফল্যের পথে এগিয়ে চলো!- ১১৯ * ৪১ ইন্টারভিউয়ের কথকতা -১২১ * ৪২ এখনই লিখে ফেললা তোমার সিভি! -১২৪ * ৪৩ ফেসবুকের সঠিক ব্যবহার করে হয়ে ওঠো আদর্শ নাগরিক। -১২৭ * ৪৪ সময় নষ্টের মূলে যে ৮টি কারণ -১৩০ * ৪৫ সময় ব্যবস্থাপনার ৫টি কার্যকর কৌশল। -১৩৪ * ৪৬ সমালোচনা -১৩৭ * ৪৭ নিজেকে জানা, Elevator Pitch এবং আমাদের অবস্থান। -১৩৯
বিখ্যাত অনলাইন ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষা উদ্যোক্তা আয়মান সাদিক বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য অনুপ্রেরণার এক অন্য নাম। তিনি শুধু অনলাইন কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমেই এদেশের তরুণ সমাজের কাছে পৌঁছেছেন তা নয়, তাদের জন্য লিখেছেন বই ও আয়োজন করেছেন অগুণতি সেমিনার ও কর্মশালার, যেগুলো আলোকবর্তিকা হিসেবে নানাভাবে সাহায্য করেছে তাদের। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল তায়েব ও গৃহিণী শারমিন আক্তার দম্পতির ঘরে ১৯৯২ সালের ২ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন আয়মান সাদিক। চট্টগ্রামের ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে তিনি মাধ্যমিক এবং ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। অতঃপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক সম্পন্ন করেন। আইবিএ-তে পড়াশোনা চলাকালে তিনি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন শিক্ষাভিত্তিক অনলাইন প্লাটফর্ম 'টেন মিনিট স্কুল'। এই প্লাটফর্মের সাহায্যে বিভিন্ন একাডেমিক ও অন্যান্য বিষয়ের উপর তথ্য ও লেকচার সমৃদ্ধ ভিডিও তৈরি করে বিনামূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় এবং এভাবে শিক্ষাকে সহজলভ্য করে তুলতে বিশাল অবদান রেখেছেন আয়মান সাদিক। আয়মান সাদিক এর বইগুলোও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। টেন মিনিট স্কুলের ব্যাপক সাফল্যের ফলে আয়মান সাদিক এর বই সমূহ পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। আয়মান সাদিক এর বই সমগ্র এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো 'স্টুডেন্ট হ্যাকস', 'ভাল্লাগে না, 'নেভার স্টপ লার্নিং' ইত্যাদি। একজন সফল তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি 'কুইন্স ইয়াং লিডার এওয়ার্ড', 'ইয়ুথ এওয়ার্ড', 'ডিওয়াইডিএফ ইয়ুথ আইকন পুরস্কার' ইত্যাদি বিভিন্ন সম্মাননা অর্জন করেছেন।