"অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং আদিঅন্ত" বইটি সম্পর্কে কিছু কথা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলােতে অনেক বাংলাদেশি প্রকৌশলী কাজ করছেন। তবে উন্নত বিশ্বের মতাে এদেশে অটোমােবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তেমন সুযােগ নেই বলে অনেকেই মােটরগাড়ি শিল্পে কাজ করা থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন। অটোমােবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমানে শুধু মেকানিকাল। ইঞ্জিনয়ারিংভিত্তিক কোনাে প্রযুক্তি নয়, বরং এটি ইলেক্টিকাল, মেকানিকাল, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংভিত্তিক প্রযুক্তি। মােটরগাড়ি শিল্পে কাজ করার জন্য প্রয়ােজন অটোমােবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়াদির উপর স্বচ্ছ ধারণা থাকা । মেহরাব মাসাঈদ হাবিবের এই বইটিতে রয়েছে অটোমােবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের খুঁটিনাটি সম্পর্কে ধারণা এবং প্রয়োজনীয় চমৎকার সব ব্যাখ্যা, যা পড়লে সহজেই অটোমােবাইল। ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে সহজভাবে জানা যায়। মেহরাব আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ! ছােটবেলা থেকেই সে স্বপ্ন দেখেছে অন্যরকম। কিছু একটা করার আর গাড়ির প্রতি তার ছিল। ভীষণ ভালােলাগা। আজ ভালাে লাগছে এই ভেবে। যে, নানারকম প্রতিকূলতা পার হয়ে সে তার লক্ষ্যের দিকে ধীরপায়ে এগিয়ে যাচ্ছে । ওর যাত্রা শুভ হোক, আশা করি বইটি পড়ে অটোমােবাইলপ্রেমীরা অটোমােবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে জানতে পারবেন ও সামনে এগিয়ে যাবেন।
Mehrad Masayeed Habib-এর জন্ম এর ১৫ ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহে। প্রকৌশলী বাবার চাকরীর সুবাদে মেহরাব এর পরিবার তখন ছিলেন ময়মনসিংহে। গাড়ীর প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিলো ছোট থেকে, এই আগ্রহ থেকেই ইচ্ছা জন্মায় গাড়ি নিয়ে কাজ করবার। যে কারনে “আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশে” ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরেও, আগে থেকেই অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান চর্চা করে আসছেন, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে থিসিসও করেছেন গাড়ি নিয়ে। বাংলা ভাষায় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে মেহরাবের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে “বাংলা অটোমোবাইল স্কুল”, বর্তমানে যার অনুসারীর সংখ্যা ৮০০০ এর কাছাকাছি। “বাংলা অটোমোবাইল স্কুল” এর ব্যানারে মেহরাব আয়োজন করেন বাংলাদেশে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর দেশের প্রথম প্রশিক্ষন কর্মশালা যা ২০১৫ তে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত তিনবছরে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যেগের পাশাপাশি Dhaka Motor Show এবং বুয়েট, UIU, AIUB ইত্যাদি বিশ্ববিদ্যালয়তেও সেমিনার আয়োজন করেছেন। দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, মাসিক ম্যাগাজিন ও অনলাইন পোর্টালে মেহরাব ও “বাংলা অটোমোবাইল স্কুল” কে নিয়ে ফিচার প্রকাশ করে। মেহরাব এর স্বপ্ন “বাংলা অটোমোবাইল স্কুল” কে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়ে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জ্ঞান চর্চার সুযোগ এদেশে উন্মুক্ত করে দেওয়ার এবং ভবিষ্যতে বিশ্বমানের গাড়ী নির্মানেরও স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্বাপ্নিক ও ইতিবাচক চিন্তায় বিশ্বাসী মেহরাবের আরেকটি স্বপ্ন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর দেশের বাইরে থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করার। বর্তমানে “বাংলা অটোমোবাইল স্কুল” এর পাশাপাশি মেহরাব নিউজ আওয়ার এবং ‘বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট ফোরাম’ এর ‘অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ভেহিকেল টেকনোলজি’ বিভাগের সাথেও জড়িত আছেন। পরিবারে মা বাদে সকলে প্রকৌশলী। তবে, মা প্রকৌশলী না হলেও পরিবারের সকলকে প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মায়ের অবদান অনেক বেশী বলে মনে করেন মেহরাব। প্রকৌশলী বাবা একটি বিদেশী উন্নয়নমূলক দাতা সংস্থার চীফ ইঞ্জিনিয়ারিং এডভাইজার হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন, তিনি ২০১২ তে মারা যান। ২ ভাই এর মধ্যে সবার ছোট মেহরাব। বড় ভাই পেশায় প্রকৌশলী, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। মা একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত, এছাড়া, লেখালেখির সাথেও জড়িত তিনি। নিজের মত কে গুরুত্ব দিয়ে গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে ভিন্ন ও চ্যালেঞ্জিং পথ বেছে নিয়ে এগোতে ভালোবাসেন তিনি। অটোমোবাইল শিল্পে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তার শখ গান শোনা, গাড়ি নিয়ে মাতামাতি করা, গোয়েন্দা কাহিনী ও গল্পের বই পড়া ইত্যাদি। ইদানীং লেখালেখিও করছেন। “অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং আদি অন্ত” মেহরাবের প্রথম বই।