‘দ্য ফাইভ টেম্পটেশনস অব এ সিইও : এ লিডারশিপ ফ্যাবল’ বইয়ের অনুবাদকের কথাঃ লেখক এই বইটির নাম দিয়েছেন ‘The Five Temptations of A CEO’। তিনি এই ‘সিইও” শব্দটি দিয়ে আসলে একজন ‘লিডার’ কে বুঝানোর প্রয়াস পেয়েছেন। একজন লিডার যখন তার দায়িত্ব ও ক্ষমতা পেয়ে যান, তখন তিনি নিজেকে একটু আলাদা ভাবতে শুরু করেন। অনেক সময় এই আলাদা ভাবাই তাকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট হয়ে দাড়ায়। যে লিডার তার ফলোয়ারদের কাতারে দাড়িয়ে নিজেকে ভাবতে পারেন না, সে খুব দ্রুতই ফলোয়ারদের নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা হারান। গ্রেট লিডার হতে হলে পাঁচটা টেম্পটেশনের উধের্ব উঠে কাজ করতে হয়। কোন একটা টেম্পটেশনের ফাঁদে পা দিলেই তার আর রক্ষে নেই। সবাই ভালো লিডার, সিইও, ম্যানেজার, সুপারভাইজর বা বস ইত্যাদি হতে পারেন না। এর মূল কারণ হলো, তাঁরা এক বা একাধিক টেম্পটেশনের মধ্যে ডুবে আছেন। মজার ব্যাপার হলো, তিনি মনের অজান্তেই ঐ টেম্পটেশনগুলোর মধ্যে আষ্ট্রেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যান। সচেতন বা অচেতন অবস্থায় ঐ টেম্পটেশনগুলোয় ক্রমাগত একজন লিডারের ভবিষ্যৎ নিষ্ট হয়। একজন মানুষ তার লিডারশিপ বাড়ানোর জন্য হয়ত ক্ৰমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু এই টেম্পটেশনের ফাঁদে পড়ে তার সব কষ্ট বৃথা হয়ে যাচ্ছে। লেখক একটি রূপক গল্পের মাধ্যমে সুন্দরভাবে ঐ টেম্পটেশনগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছেন। একজন সত্যিকারের লিডার এই গল্পের নাটকীয়তায় নিজেকে স্পষ্ট দেখতে পাবেন। তিনি নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করতে পারবেন। ইগো, ফলোয়ারদের সাপোর্ট হারানোর ভয়, নিজেকে পারফেক্ট প্রমাণের চেষ্টা, ফলোয়ারদের সাথে ফলস হারমনি, ভালনার্যাবল হতে ভয় পাওয়া এই টেম্পটেশনগুলোয় জর্জরিত হয়ে গ্রেট লিডারশিপ মাথা ঠুকে মরছে। কিশোর বয়স থেকেই এই টেম্পটেশনগুলো জেনে নিয়ে সেগুলো ওভারকম করার ক্রমাগত প্রাকটিস করতে থাকলে গ্রেট লিডার হওয়ার পথ কেউ রুখতে পারবে না। -মোঃ মারুফ হাসান মনবীর
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স রকমারি ডটকম’-এর সিইও'র কথাঃ প্যাট্রিক লিঞ্চিওনির ‘দ্য ফাইভ টেম্পটেশনস অব এ সিইও’ লিডারশিপ নিয়ে লেখা বিখ্যাত একটি বই। রকমারি ডট কম -এর মানবসম্পদ বিভাগে দায়িত্বরত ‘মোঃ মারুফ হাসান মনবীর’ খুব সহজ ও সাবলীল বাংলায় বইটির অনুবাদ করেছে। এই বইটির মুখবন্ধ লেখা বা লিডারশিপ নিয়ে কিছু লেখার মত নিজেকে যোগ্য মনে করি না। তবুও এখন পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু জিনিস শেয়ার করছি। আমার ক্যারিয়ারের দীর্ঘতম অংশ ‘রকমারি’ কেন্দ্রিক। ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রকমারিতে বিভিন্ন লেভেলের টিমের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখান থেকে বলতে পারি, একটা কোম্পানি বা টিমের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো এর মানুষগুলো। আর লিডারের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এই মানুষগুলোকে ভালো রাখা। খুব সাধারণভাবে চিন্তা করলে একজন লিডার কয়েকজন টিম মেম্বারকে সাথে নিয়ে একটা টিমকে লিড দেন। টিমের কাজের জবাবদিহিতার দায়িত্ব থাকে লিডারের উপর, কিন্তু কাজগুলো করতে হয় টিম মেম্বারদের সাথে নিয়ে। ভিন্ন চিন্তা ভাবনার একাধিক মানুষ নিয়ে কোন একটা কাজ করা অনেক ক্ষেত্রেই লিডারের জন্য চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। কিন্তু এই ভিন্নতাই একটা টিমের জন্য অনেক বড় একটা শক্তি। একজন ভালো লিডার টিমের জন্য নিজেকে অপ্রয়োজনীয় করে তোলেন। তাকে ছাড়াই যেন টিম পূর্ণ শক্তিতে চলতে পারে সেভাবে পুরো টিমকে তৈরি করতে হয়। কোন একটা সমস্যা নিজে সমাধান করার থেকে, টিম মেম্বারদের সমাধান করতে শেখানো লিডারের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটা টিমের জন্য লিডারকে সব সময়ই কাজ করে যেতে হয়। টিম কোন একটা কাজ শেষ করে ফেলতে পারে, কোন একটা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে, কিন্তু একটা টিমকে ডেভেলপ করা একজন লিডারের জন্য চলমান একটি কাজ। ‘অন্যরকম গ্রুপ’ থেকে আমরা অন্যরকম বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি। ‘রকমারি ডট কম’ও সেই একই পথে হাঁটছে। সুন্দর সুখী বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের ভালো লিডার দরকার, যারা নিজেরা ভালো থাকবে, আশেপাশের মানুষগুলোকে ভালো রাখবে, বাংলাদেশকে ভালো রাখবে। খায়রুল আনাম রনি সহ-প্ৰতিষ্ঠাতা ও সিইও রকমারি ডট কম ‘দ্য ফাইভ ডিসফাংশনস অব এ টিম’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ প্যাট্রিক লিঞ্চিওনি টেবিল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। টেবিল গ্রুপ একটি ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ফার্ম। এই ফার্মের কাজ এক্সিকিউটিভ টিমের উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। একজন পরামর্শদাতা ও মূল বক্তা হিসেবে তিনি বহু। কোম্পানিতে সহস্র সিনিয়র এক্সিকিউটিভের সঙ্গে কাজ করেছেন। ফরচুন ৫০০ এবং নতুন হাইটেক কোম্পানি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, দাতব্য প্রতিষ্ঠান সবার সঙ্গে কাজ করেছেন। তার সার্ভিস পেয়েছেন এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্লায়েন্ট হলো: নিউ ইয়র্ক লাইফ, সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইনস, স্যামস কাব, মাইক্রোসফট, অলস্টেট, ভিসা, ফেডএক্স, দি ইউএস মিলিটারি। একাডেমি, ওয়েস্ট পয়েন্ট। তাঁর লেখা পাঁচটি বই জাতীয় পর্যায়ে সমাদৃত হয়েছে। দ্য ফাইভ ডিসফাংশনস অব এ টিম (জোসেই-ব্যাস, ২০০২) নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর বেস্ট সেলার বইয়ের সুখ্যাতি পেয়েছে। সান ফ্রানসিস্কো শহরের উপকূলে প্যাট্রিক তার পরিবারসহ বাস করেন। পরিবারের সদস্যরা হলেন। ': স্ত্রী লাওরা, তিন ছেলে- ম্যাথিউ, কন্নর ও ক্যাসি। প্যাটিক ও তাঁর টেবিল গ্রুপ সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন। www.tablegruop.com নিউ ইয়র্ক টাইমস বিজনেস ক্যাটাগরিতে সাত। সপ্তাহব্যাপী বেস্ট সেলার বই। কোম্পানিতে সবচেয়ে জঘন্য ও অজস্র সমস্যায়। জর্জরিত কর্মপরিবেশকে কীভাবে টিমওয়ার্ক দিয়ে। পুনরায় সুস্থ স্বাভাবিক কর্মপরিবেশে রূপান্তর করতে হয়, তার এক অসাধারণ রূপকথার গল্প এ বই। সূচিপত্রঃ বই পড়ার পূর্বে ১১ বইটি প্রকাশের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প জড়িয়ে আছে,.. ১৫ কল্পকথা ভাগ্যের খেলা ১৯ অধ্যায় এক : কিছু পাওয়ার অপেক্ষায় ২১ অধ্যায় দুই : আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে ৩৭ অধ্যায় তিন : কঠিন বাস্তবতা ১০৩ অধ্যায় চার : এগিয়ে চলা ১৪৯ মডেল মডেলের সারসংক্ষেপ ১৬২ টিম মূল্যায়ন ১৬৫ পাঁচটা বিচ্যুতি বোঝা এবং সেগুলো মোকাবিলা করা ১৭৪ সময় সম্পর্কে কিছু কথা : ক্যাথরিনের পদ্ধতি ১৯৯ টিমওয়ার্কের প্রতি বিশেষ সম্মাননা ২০০ লেখিকার পরিচিতিঃ ফারজানা মোবিন, জন্ম রাজশাহীতে। রাজশাহীর পি, এন, গার্লস হাইস্কুল ও নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল। ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ করেছেন। * বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এক্সিকিউটিভ। হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অন্যরকম। 'গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন টেকশপ বাংলাদেশে। 'দ্য ফাইভ ডিসফাংশনস অব এ টিম' তার। প্রথম অনুবাদিত বই।
প্যাট্রিক লিঞ্চিওনি একজন মার্কিন লেখক, বক্তা এবং একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মূলত ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক বই রচনা করেন। ১৯৯৭ সালে প্যাট্রিক ‘দ্য টেবিল গ্রুপ’ নামের একটি ম্যানেজমেন্ট কন্সাল্টেশন ফার্ম নির্মাণ করেছেন যা নতুন উদ্যোক্তা বা লিডারদের তাদের সংগঠনের স্বাস্থ্য উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন প্রকার সহায়তা করে থাকে। প্যাট্রিক ১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ক্যালিফোর্নিয়ার বেকারসফিল্ডে বড় হয়েছেন। গারসেস মেমোরিয়াল হাই স্কুল এবং ক্লেয়ারমন্ট ম্যাককেনা কলেজ থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সান ফ্রানসিস্কো শহরের উপকূলে বসবাস করেন। পেশাগত জীবনে তিনি বিভিন্ন ব্যবসায় পরামর্শদানকারী বেইন এন্ড কোম্পানি, ওরাকল কর্পোরেশন এবং সায়বেজ-এ পরামর্শদাতা এবং সহ-সভাপতি পদে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন এক্সিকিউটিভ টিমের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। এখানে তিনি কীভাবে প্রকৃত নেতৃত্ব প্রদান করে টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে নানা সমস্যায় জর্জরিত কোনো প্রতিষ্ঠানকে সফল করা যায় সেই সম্পর্কিত কার্যকরী পরামর্শ প্রদান করেন। তার সংগঠনের সংস্পর্শে এসে এমন অনেক বহুজাতিক কর্পোরেশন, নতুন উদ্যোক্তা, লাভজনক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, গীর্জা তাদের কর্ম পরিবেশকে উন্নত করতে পেরেছে। এছাড়াও দ্য টেবিল গ্রুপ- আমাজন, মাইক্রোসফট, সিসকো, বেইন ক্যাপিটাল, দ্য ন্যাশনাল ফুটবল লীগ, সিম্যানটেকের মতো বিখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথেও কাজ করেছে। প্যাট্রিক লিঞ্চিওনির সাংগঠনিক পরামর্শসমূহ এবং মতাদর্শ ইউনিভার্সিটি অফ সেইন্ট ম্যারিতে এমবিএ শিক্ষার্থীদের কোর্স আকারে পড়ানো হয়। প্যাট্রিক লিঞ্চিওনি এর বই সমূহ সংখ্যায় প্রায় ১৮ থেকে ২০টি। এর মধ্যে বিখ্যাত বইগুলো হলো দ্য ফাইভ ডিসফাঙ্কশন অব আ টিম, ডেথ বাই মিটিং, দ্য এডভান্ট্যাজ, সিলোস, পলিটিকস এন্ড টার্ফ ওয়ারস এবং দ্য আইডিয়াল টিম প্লেয়ার। প্যাট্রিক লিঞ্চিওন এর বই সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। প্যাট্রিক লিঞ্চিওনির অনুবাদ বইগুলো ব্যবস্থাপনায় কিংবা ব্যবসায় ইচ্ছুক উদ্যোক্তাদের নানাভাবে উপকৃত করে আসছে।