সিলেটি উপভাষার গুরুত্ব নানা কারণে। প্রান্তীয় ভাষা এবং অসমীয়া (কামরূপী) ভাষার সংলগ্নতা এই গুরুত্বের অন্যতম কারণ। এই উপভাষা সম্পর্কে মুহম্মদ আবদুল হাই এবং সৈয়দ মুজতবা আলী আমাদের আরও সচেতন করে গেছেন। তাঁদের অনুসারীদের ধারাবাহিকতায় বর্তমান গবেষক ড. শ্যামল কান্তি দত্ত বিষয়টিকে আলোচনায় আরও প্রসারিত করার প্রয়াসী হয়ে সকলের ধন্যবাদার্হ হয়েছেন। গবেষক বর্তমান গ্রন্থে সিলেট ভূ-অঞ্চলের সীমা ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য আলোচনা শেষে ভাষিক উপাদান নিয়ে পূর্বসূরীগণ যে বিশ্লেষণ করে গেছেন তা নিয়ে যেমন বিস্তৃত আলোচনা করেছেন, তেমনি নিজস্ব মাঠকর্ম ভিত্তিক সংগৃহীত তথ্যের (ধ্বনি-রূপ-বাক্য-অর্থগত উপাদান) ভিত্তিতে নিজস্ব বিশ্লেষণ ও মতামতও ব্যক্ত করতে চেষ্টা করেছেন সুচারুভাবেই। তাঁর এই উদ্যম প্রশংসনীয় এবং যথার্থ পরিশ্রম-ঋদ্ধ। তিনি আমাদের দেশে উপভাষার তুলনামূলক আলোচনাকারীদেরও একজন। উপভাষার নানা খুঁটিনাটি বিবরণে এবং তত্ত্বীয় আলোচনাতে তাঁর আগ্রহ ও আন্তরিকতা আমাদের মনোযোগ দাবী রাখে। সিলেটের উপভাষা নিয়ে ইতিপূর্বে যারা আলোচনা করেছেন, তার মধ্যে এই আলোচনাটিও যে প-িতমহলে আদরণীয় হবে তাতে আমাদের সন্দেহ নেই।