"বাংলা বানান ও উচ্চারণ-বিধি" বইয়ের ফ্ল্যাপের কথা: প্রমিত বাংলার ব্যবহার এ দেশে স্বাভাবিক বা স্বতঃসিদ্ধ নয় বলে তা চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে আয়ত্ত করতে হয়। তার জন্য প্রয়ােজন পড়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকের এবং উপযুক্ত বইয়ের । বাংলাদেশে শিক্ষার হার ধীরগতিতে হলেও ক্রমাগত বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম মুখ্যত বাংলায় চালু আছে । পরিস্থিতির কারণে বাংলা শুদ্ধভাবে লেখা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। তাই মানুষজনকে প্রশিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে শুদ্ধভাবে বাংলা বলা ও লেখার বই যত বেশি প্রকাশিত হয় ততই দেশবাসীর মঙ্গল । ড. আবদুল আলীম রচিত বাংলা বানান ও উচ্চারণ-বিধি’ ভাষাশিক্ষার্থী ও অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিদের প্রয়ােজন মেটাবে। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা ও রাষ্ট্রভাষা হলেও চারদিকের বাস্তবতা বলে দিচ্ছে যে, বাংলা ভাষার জন্য আমাদের মনে কোনাে। শ্রদ্ধাবোধ কী হৃদয়ে কোনাে ভালােবাসা আজ যেন আর কাজ করছে না। দেশপ্রেম থেকেই মাতৃভাষাপ্রেম জন্মায়। এর অর্থ দাঁড়ায় আমাদের দেশপ্রেম নেই। এ পরিস্থিতি লজ্জাজনক ও আত্মগানিকর। মাতৃভাষা নির্ভুল শেখা ও প্রয়ােগ করার লক্ষ্য সামনে রেখে ড. আবদুল আলীম যে-বইটি লিখেছেন তা পাঠ করলে সকলেই উপকৃত হবেন। আমি এ বইয়ের বহুল প্রচার কামনা করি ।
ড. এম আবদুর ইতিহাস-ঐতিহ্যসন্ধানী গবেষক। সাহিত্য-সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ে এ পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থ তিরিশের অধিক। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো - ভাষা-আন্দোলন-কোষ, রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন : জেলাভিত্তিক ইতিহাস, ত্রিশোত্তর বাংলা কাব্যে বিচ্ছিন্নতার রূপায়ণ, বাংলা কাব্যের স্বরূপ ও সিদ্ধি-অন্বেষা, শহীদ কাদরীর ত্রিভুবন, রবীন্দ্রনাথ উত্তর-আধুনিকতা ও বাংলা ভাষার বিশ্বায়ন, পাবনায় ভাষা-আন্দোলন, সিরাজগঞ্জে ভাষা আন্দোলন, আনিসুজ্জামান, সুচিত্রা সেন, বন্দে আলী মিয়া : কবি ও কাব্যরূপ, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা, আওয়ামী লীগ ও ভাষা আন্দোলন প্রভৃতি। নেশা লেখালেখি হলেও পেশা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা। এক সময় ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ও কলা অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর জন্ম ১৯৭৬ সালের ১ ডিসেম্বর। জন্মস্থান পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার গৌরীগ্রামে।