আত্মশুদ্ধি: একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধির উপরই নির্ভর করে তার বাহ্যিক আচার-আচরণ। আত্মা বিশুদ্ধ না হলে মানুষের আমলও বিশুদ্ধ হতে পারে না। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃহত্তর ও সুমহান যা নিয়ে এ ধরাধামে এসেছেন তা হলো অন্তরের সংশোধন ও পরিশুদ্ধতার ব্যবস্থাপত্র। ভুল করা যেমন মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি, তেমনি পাপের উর্ধ্বে কোনো মানুষ থাকতে পারে না। পাপ বা গোনাহ হয়ে থাকে ইচ্ছায়- অনিচ্ছায়, জানা-অজানায়। এ পাপ থেকে মুক্তির উপায় কী? গোনাহ করা যেমন বান্দার স্বভাব তেমনি গোনাহ মাফ করাও আল্লাহর স্বভাব এবং বিশেষ গুণও বটে।
কেননা আল্লাহ তায়ালার আরেক নাম গফুর। আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ وَيُعْظِمْ لَهُ أَجْرًا
"যে তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করে তার গোনাহগুলো মিটিয়ে দেওয়া হবে এবং তার প্রতিদানকে বহুগুণে বৃদ্ধি করা হবে।" [সূরা তালাক, ৬৫:০৫]
প্রিয় পাঠক! একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না। মানুষ আত্মা এবং দেহের সমন্বয়ে গঠিত। একে অপরকে ছাড়া অচল। দেহ মানুষের বাহ্যিক বিষয়। তাই এর ভুল-ত্রুটি আমাদের চোখ এড়ায় না। আর মানুষ রোগাক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা করায়। কিন্তু মানুষের এই দেহ শুধু এ দুনিয়ার জন্যই। আত্মা যে আখিরাতের জীবনের এক দীর্ঘ জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট। আত্মিক চিকিৎসা দৈহিক চিকিৎসার পাশাপাশি অপরিহার্য একটি বিষয়। আর এটাও আত্মিক পদ্ধতিতেই করতে হয়। কেউ যদি আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সে আখিরাতেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে ব্যর্থ হবে। তাই আত্মার পরিশুদ্ধিতা অর্জন করা একান্তভাবে অপরিহার্য একটি বিষয়। মহান রবের অমীয়বাণী-
قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّىٰ
'যে নিজেকে শুদ্ধ করে নিবে সেই সফলকাম।' [সূরা আলা,৮৭:১৪]