ডেন্সিয়াল বিশ্বজয়ের পর ভারতবর্ষের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন জিঘাংসা সিরিজে অবতীর্ণ হয়, যাত্রা শুরু সেখান থেকে। সেই ১৯৮৩ সালে। তারপর যে উনত্রিশ বছরের অগণ্য ক্রিকেটীয় উত্থানপতন, মহাসমর এবং নানান মাইলফলক আমরা পেয়েছি, কোটি কোটি ধৃতরাষ্ট্রের স্মৃতিতে সঞ্জয়ের মতােই তেমন সাক্ষ্য রেখেছে গৌতম ভট্টাচার্য-য়ের কলম! শুধু একটাই তফাত। শুকনাে বিবরণ নয়। সেখানে ছিল সাহিত্যের আঙ্গিকও। গল্পচ্ছলে টেলে আনা অজানা তথ্য ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ। এমনকী ২০০৩ বিশ্বকাপে কিনিয়ার বিরুদ্ধে। সেমিফাইনালে সৌরভের ছয় হাঁকানাের বর্ণনা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে পড়ে যে সেটা ন’বছর। পর একটি বাংলা চলচ্চিত্রের শিরােনাম! আধুনিক ক্রিকেটের জোয়ারে এমনই গৌতমের বাণভেদি শব্দ। লেখক এর আগে নানান সফল বইয়ের জন্মদাতা। বাপি বাড়ি যা’, ‘জয় হে’, ‘সচ’। কিন্তু এই বার তিনি যে সচ-এর খোঁজে বেরিয়েছেন সেই সত্যকে বার করতে হলে। তাকে প্রত্নতত্ত্ববিদের প্যাড-গ্লাভস পরে নিতে হবে। কাজটা কঠিন। কিন্তু ক্রিকেট ইতিহাসের এই ঘূর্ণি পিচের চতুর্থ ইনিংসে যদি কেউ মনের দৃঢ়তা, গবেষণার ধৈর্য আর ব্যস্ত চাকুরিগত জীবনের স্ট্রাইক রােটেট করে এ ম্যাচ বার করতে পারেন, তিনি নিঃসন্দেহে গৌতম ভট্টাচার্য।