"মানুষের ইতিহাস" বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথাঃ মানুষের ইতিহাস প্রাচীন যুগ গ্রন্থে পুরান পাথর যুগের শিকারী সমাজ পর্বে মানুষের বিবর্তন : রামাপিথেকাস, অস্ট্রালোপিথেকাস থেকে নিরাণ্ডার্থাল মানুষ ও তদ্ধিমান মানুষের উত্থান, আদিম সমাজের পরিচয়, মাতৃতন্ত্র, ক্ল্যান সংগঠন ও চিন্তাধারার সামাজিক ভিত্তি আলোচিত। নতুন পাথর যুগের সংস্কৃতি পর্বে কৃষির অধিকার, নবোপলীয় সমাজের পৃথিবীব্যাপী বিস্তার, সভ্যতার প্রস্তুতিপর্ব : তাম্রযুগ ও ব্রোঞ্জযুগ বিষয় বিধৃত। প্রাচীন মিশরের সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিচয় পর্বে ধর্ম, সামাজিক, অর্থনৈতিক, জোতির্বিদ্যা, বিজ্ঞান ও জ্যামিতি, চিকিৎসাবিদ্যা, শিল্পকলার অবস্থা আলোচিত। মেসোপটেমীয় সভ্যতার ও সংস্কৃতির পরিচয়, সুমেরীয় সংস্কৃতি, ব্যবিলনীয় যুগের সংস্কৃতি, আসিরীয় যুগের সংস্কৃতি, ক্যালন্ডীয় যুগের সংস্কৃতিও সমানভাবে আলোচিত। প্রাচীন পারস্য সভ্যতা, সাম্রাজ্য ও তার ইতিহাস,পারসিক সংস্কৃতি ও তার প্রভাব, হীব্রু সভ্যতা, ধর্ম ও জাতির উৎপত্তি ও ইতিহাস, হিট্রাইট, ফ্রিজীয়, লিডীয়, ফিনিশীয় ও মাইনোসীয় সভ্যতা বিষয়টি আলোচিত। গ্রীসীয় সভ্যতার আদি পর্যায়, হোমারীয় যুগ, গ্রীসীয়-পারসিক যুদ্ধ, এলেনীয় শক্তির অভ্যুদয়, পেরিক্লিসের যুগ, পেলোপনেসীয় যুদ্ধ, আলেকজাণ্ডারের সাম্রাজ্য বিষয় আলোচিত। গ্রীসীয় সংস্কৃতির পরিচয়, হেলেনিষ্টিক যুগের সভ্যতা ও সংস্কৃতি, রোমক সভ্যতা, আদি ইতিহাস, রাজতন্ত্র, প্রজাতান্ত্রিক রোম, রোমের গৃহযুদ্ধ, সামাজিক ইতিহাস, সভ্যতার বিভিন্ন দিক ও ঐতিহ্য আলোচিত। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস পর্বে সিন্ধু সভ্যতার নগর জীবন, জীবিকা। ও শিল্প দ্রব্য ও ধর্ম বিশ্বাস এবং আর্যজাতি ও বৈদিক সভ্যতার ধর্ম, বৈদিক যুগের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা, জীবিকা ও আর্থিক ব্যবস্থা, বর্ণশ্রম, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মের আবির্ভাব, মগধের অভ্যুদয় ও বৈদেশিক আক্রমণ এবং মৌর্য ও গুপ্তযুগের সভ্যতা ও সংস্কৃতি আলোচিত। চীনের প্রাচীন ইতিহাস পর্বে পুরোপলীয় ও নবোপলীয় সংস্কৃতি, ব্রোঞ্জ সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন রাজবংশের বিষয়টি আলোচিত। আমেরিকা মহাদেশের সংস্কৃতি, মায়া, আজটেক, ইনকা সভ্যতার উৎপত্তি প্রসঙ্গ আলোচিত। এছাড়া কোরিয়া ও জাপানের প্রাচীন ইতিহাস, অষ্ট্রেলিয়ার ও ওশেনিয়ার ইতিহাস, আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ও ইউরেশিয়ার বর্বর জাতিদের ইতিহাস সহ সকল বিষয় প্রাঞ্জল ভাষায়, ইতিহাসের বৈজ্ঞানিক ধারাবাহিকতায় স্বচ্ছন্দভাবে আলোচিত।