‘আপ্তবাক্য’ শব্দটির অর্থ ভুল নেই এমন। এমন একটি শব্দ বেছে নিয়ে মোল্লা জামান তার চার পংক্তিতে লেখা ছন্দবদ্ধ ২০০টি কবিতার একটি বইয়ের শিরোনাম করেছেন। তার যাপিত জীবনের যা কিছু তাকে আন্দোলিত, আপ্লুত, আবেগী করেছে তাই তিনি ধরে রেখেছেন শব্দের বন্ধনে। প্রথমেই তার কিছু অনুভূতি মালা পাঠ করা যাক― ৯. ফেসবুক হতে পারে গুডবুক যদি এতে করা হয় গুডলুক। তা না হলে যেতে হবে রসাতল একা বসে খেতে হবে তিতাফল। ৫৯. মাঝে মাঝে ভালোকেও ভালো বলা যায় না খারাপের ভালোটাকে মেনে নিতে চায় না। তাই বলে খারাপকে বলো যদি ভালো তোমরাও তাদের মতো হবে দিল কালো। ছন্দ কবিতার একটি সুবিধা হলো দ্রুত মুখস্ত করা যায় এবং তা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে লোক থেকে লোকারণ্যে। নীতি, দর্শন, অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা নানা বিষয় উঠে এসেছে মোল্লা জামানের লেখায়। ছাত্রজীবন থেকেই মোল্লা জামনের লেখালেখির চর্চা। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন তিনি। এ বইয়ের কবিতাগুলো পড়লে তার চর্চার গভীরতা বোঝা যায়। আরও কিছু কবিতা পাঠ করা যাক― ১৫৯. উদারতা মাঝে মাঝে ডেকে আনে দুঃখ এইটাকে সবখানে করো নাকে মুখ্য। বদলোক তাতে করে নেয় যে সুযোগ পরিণামে সাধুজন শোনে অনুযোগ। ২০০. ঠান্ডা মাথায় কাজ করো ভাই, পাবে দ্বিগুণ ফল গরম-মাথায় করলে সে কাজ, যাবেই রসাতল। ঠান্ডামাথা অনেক ভালো, গরম-মাথা হতে হাজারখানেক গরম-মাথা, মিলবে নাকো মতে।
পূর্ণ নাম : মো. কামরুজ্জামান পিতা : মরহুম জহির উদ্দীন মোল্লা মাতা : মরহুমা কারিমা খাতুন জš§ : ৩১ অক্টোবর ১৯৫৯ স্থায়ী ঠিকানা : গ্রাম ও ডাকঘর-বৈলসিংহ উপজেলা : বাগমারা, জেলা : রাজশাহী শিক্ষা : রাজশাহী সিটি কলেজ থেকে ১৯৭৯ সালে এইচএসসি, রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে বিএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮১-৮৩ সেশনে উদ্ভিদবিদ্যায় এমএসসি শেষ বর্ষ পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। সরকারি চাকরিতে যোগদানের কারণে চ‚ড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি। ১৯৮৫ সালে রাজশাহী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিএড এবং ২০০০ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে ইসলামিক স্টাডিজে এমএ পাস করেন। পেশা : বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীনে নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন। সর্বশেষ বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তর, আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহীতে দায়িত্বে থাকাকালীন অবসর গ্রহণ করেন। লেখালেখি : ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখি চর্চা করেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার অনেক ছড়া, কবিতা, ছোটগল্প, রম্য রচনা প্রকাশিত হয়েছে। ছোটদের জন্য গল্প, কবিতা লিখতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তার প্রকাশিত বই: ছড়াগ্রন্থ ‘লাল সবুজের পতাকা’, গল্পগ্রন্থ ‘রাজার হুকুম’ এবং কাব্যগ্রন্থ ‘জীবন ছোঁয়া’ (যৌথ), অনুকাব্য ‘আপ্তবাক্য’।