"দুগ্ধজাত গরুর খামার ব্যবস্থাপনা" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: অনেকেই মনে করেন, একটি দুগ্ধজাত গরুর খামার মানেই বিস্তর জমি আর অঢেল পুঁজি খাটানাের বিষয় নয়। অনেকেই এটা ভেবে এই ধরনের দুগ্ধজাত গরুর খামার করা থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না, শুরুর দিকে বৃহৎ আকারে না হলেও ছােট আকারেও একটি দুগ্ধজাত গরুর খামারের গর্বিত মালিক হতে পারেন তারা। সেই খামার থেকে উৎপাদিত দুধ ও বকনা বাছুর বিক্রি করে সত্যিকারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনা কঠিন কোন কাজ নয়। স্বচ্ছল চাষী এবং দারিদ্র্য সীমার সামান্য উপরের স্তরের মানুষদের জন্য এইটুকু পুঁজি খাটানাে খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। তবে ছােট হােক আর বড় হােক- দুগ্ধজাত গরুর খামার করার আগে এই বিষয়ে জরুরী কিছু জ্ঞান অর্জন করা একান্ত আবশ্যক। কারণ, শুধু পালন করাই নয়- তাদের পরিচর্যা করাটাও হতে হবে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে। কারণ, সুষ্ঠুভাবে একটি দুগ্ধজাত গরুর খামার তৈরি করতে হলে চাই উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা। সাধারণ গাভী থেকে উত্তোরত্তর উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বা লাভের মুখ দেখতে পাবেন খামারী । এই বইতে একেবারে শুরু থেকে একটি দুগ্ধজাত গরুর খামার তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণসহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনার বিষয় নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। একজন খামারী- যার সামান্য প্রশিক্ষণ রয়েছে কিংবা খামার করার বিষয়ে বিস্তর আগ্রহ রয়েছে- তিনি অনায়াসে এই বইয়ের সহায়তা এবং দক্ষ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে উৎপাদনশীল খামার তৈরি করতে পারবেন। যার মাধ্যমে তিনি নিজে লাভবান হবেন এবং পাশাপাশি দেশকে উন্নত প্রােটিন ও প্রাণীজ আমিষ সরবরাহ করতে পারবেন।