‘উল্লাসের বাবা মোহাম্মদ আরাফাত আজীম মৃধা ও বড়ভাই আনন্দ দুজনেই ইঞ্জিনিয়ার। ওদের পারিবারিক ব্যবসা আছে ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের। ইমেইল, এসএমএসের যুগে খামের চিঠি বলতে যা আসে সবই দাপ্তরিক চিঠি। সেসব আসে ওদের অফিসের ঠিকানায়। আত্মীয় স্বজন বলতে দুকূলে গ্রামে কেউ থাকে না। সবাই শহুরে অথবা প্রবাসী। একটু দূরে বা বিদেশে বসবাসরত আত্মীয়রা বেড়াতে এলে সাথে করেই এটা-সেটা নিয়ে আসে। মোদ্দাকথা, ওদের বাসার ঠিকানায় চিঠিপত্র বা পার্সেল আসে না।’ ভৌতিক উপন্যাস ‘কান্তি’ এর একটি অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। বইটির লেখক নিলয় ভূঁইয়া। চিঠি নিয়ে এমন একটি রহস্যময়তার মধ্য দিয়ে এগুতো থেকে এ উপন্যাসের কাহিনি। এরপর ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে আরও নতুন নতুন সব ঘটনা। আরাফাত আজীম মৃধার গ্রামের বাড়ি থেকে চিঠি এসেছে। তাকে গ্রামে যেতে হবে। কিন্তু তার তেমন আগ্রহ নেই। কিন্তু ছেলেদের জোরাজুরিতে তাকে যেতে হলো গ্রামের বাড়িতে। আরাফাত সাহেবের চাচার ছোট পিতামহ সিরাজ মৃধাকে ঘিরে ঘটে নানা সব ভৌতিক ঘটনা। একটি নারীর ছবি নিয়ে মগ্ন হয়ে যান সিরাজ মৃধা। ছন্দ হারায় তার স্বাভাবিক জীবনের। সিরাজ মৃধার বড় ভাই জামিদার হুমায়ুন মৃধা ভাইয়ের এ আচরণে বিষ্ময় প্রকাশ করে। তিনি বুদ্ধি করে ছবিটিকে নষ্ট করে ফেলে ইঁদুরে কেটেছে বলে চালিয়ে দেন। কিন্তু কিছু দিন পরে তাকেও বিছানায় পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়। তার মৃত লাশ দেখে মনে হয় যেন ইঁদুরে কেটেছে। এ বইটির লেখক নিলয় ভূঁইয়া জন্মগ্রহণ করেন ঢাকার মোহাম্মদপুরে। তাদের পৈত্রিক নিবাস সাকতলা, দেবীদ্বার, কুমিল্লা। লেখালেখির বাইরে বিভিন্ন টিভি ফিকশন নির্মাণের সাথে জড়িত আছেন। ৪৮ পৃষ্ঠার এই বইটি এক বসায়ই পড়ে শেষ করা যাবে। চারটি ভাগে বিভক্ত এ উপন্যাসের পাঠক পাবেন নতুনত্ব ও ঘটনার দুর্দান্ত বর্ণনা।
পুরো নাম মসনদ বিন তৈফুর ভূঁইয়া নিলয়। নিলয় ভূঁইয়া নামে পরিচিত। জন্ম: ২ মার্চ, ঢাকার মোহাম্মদপুরে। গ্রাম: সাকতলা (ভূঁইয়া বাড়ি), দেবীদ্বার, কুমিল্লা। পড়ালেখা: আইনে স্নাতক। পেশা: বর্তমানে ঢাকা ট্যাক্সেস বার এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ কোম্পানি ল' প্র্যাক্টিশনার’স সোসাইটি ও বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ল’ইয়ারস সমিতি এর সদস্য। নেশা: লেখালেখি, টিভি ফিকশন নির্মাণ, মানবাধিকার কর্মী, সংগঠক। সাংবাদিকতা: কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো সময়টা সম্পৃক্ত ছিলেন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতায় দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। এছাড়াও সাপ্তাহিক তদন্তচিত্র পত্রিকায় অপরাধ পাতার সম্পাদনা করেছেন।
শিল্প ও সাহিত্যকর্ম: বর্তমানে নিলয় ভূঁইয়ার সম্পাদনায় অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে সাহিত্য ম্যগাজিন ‘চয়নিকা’। প্রথম পাঠকসমাদৃত কাব্যগ্রন্থ মেঘবালিকা (২০১০, জাগৃতি)। দ্বিতীয় বই ছোটগল্প তোমারই প্রতীক্ষায় (২০১১, জাগৃতি), তৃতীয় বই ছোটগল্প প্রণয়ের বিভাবরী (২০১৪, বুক মেকার পাবলিকেশন্স) চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ দ্রোহবীণা (২০১৮, সাহিত্যদেশ) এছাড়া নিলয়ের পরিচালিত ও তার নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজ ম্যাড হাউজ প্রোডাকশন থেকে নির্মিত রক এÐ হেভি মেটাল মিউজিক-এর সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানটি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ২০১২ সালের অন্যতম একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল যা তরুণদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। লেখালেখির বাইরে বিভিন্ন টিভি ফিকশন নির্মাণের সাথে জড়িত আছেন