‘আধুনিক অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা’ বইয়ের কথাঃলেখক পরিচিতি জন্ম ১৯৫২ সালে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে। দু ভাই আট বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। পিতা মরহুম মৌলভী দেওয়ান আবদুল কুদ্দুস মাস্টার ও মাতা বেগম খাদিজা খাতুন। টাঙ্গাইল জেলার জামুর্বী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি (বিজ্ঞান) পরীক্ষা ১৯৬৮ সালে, ঢাকার জগন্নাথ সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি (বিজ্ঞান) পরীক্ষা ১৯৭০ সালে এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে “এমবিবিএস” ডিগ্রী লাভ করেন। অতঃপর সাইকিয়াট্টি বিষয়ে “এমসিপিএস” ১৯৮৭ সালে বিসিপিএস থেকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আইপিজিএম আর ও পিজি হাসপাতাল থেকে “ডিপিএম” ১৯৯০ সালে এবং “পিএইচডি” ডিগ্রী ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেন। তিনি দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক প্রদেশের রাজধানী বাঙ্গালোরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরোসাআন্স (নিমহ্যানস) থেকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ফেলোশীপ ১৯৯৫ সালে এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ১৯৯৯ সালে জাইকার ফেলোশীপ জাপান থেকে অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক সাইকিয়ট্টি উপলক্ষে তিনি বহু দেশ সফর করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের লীয়েন নিয়ে তিনি সৌদিআরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে আর আর মের্ন্টাল হসপিটালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসাবে দু’বছর সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। চাকুরীর শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে দায়িত্ব পালন এবং সরকারী মেডিকেল কলেজে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করার পর অবসর নিয়ে বর্তমানে সাভারে অবস্থিত এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মনোরোগ ও মাদকাসক্ত চিকিৎসা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর লেখা আরও কয়েকটি বই : মানসিক স্বাস্থ্য, হজ্জ উমরাহ ও স্বাস্থ্য কথা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে ইসলাম, চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোযা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়াশন, বাংলাদেশ এসোসিয়াশন অফ সাইকিয়াট্টি, এসোসিয়াশন অফ ফিজিসিয়ান অফ বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্টার্ড গ্র্যাজুয়েট এগুলোর আজীবন সদস্য এবং আরও অনেক সংগঠনের সদস্য। তিনি দু’সন্তানের জনক।
অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল হাসান মাহমুদ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অপর এক নাম। রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব, শত নাগরিক কমিটির সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী মুক্তিযােদ্ধা দলের উপদেষ্টা। ডাঃ ইকবাল শহীদ জিয়ার আদর্শের একজন ধারক ও বাহক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপােষহীন অনুসারী। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের নিয়মিত কলামিষ্ট। তার কলামগুলাের অন্যতম আকর্ষণ হলাে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং ইসলামী আন্দোলনের বিকাশ। পেশাগত জীবনে তিনি একজন চিকিৎসক। ঢাকা ফেডারেল মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক। তিনি । দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম একজন নন্দিত বক্ষব্যধি বিশেষজ্ঞ। দক্ষতা অর্জনের নেশায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে সফর করেছেন। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রনায়কের সাক্ষাৎ লাভ করেছেন। পেশাগত জীবনে তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মান এবং খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রীজ থেকে ‘টুয়েনটিথ সেঞ্চুরী এওয়ার্ড প্রাপ্তি, আমেরিকান বায়ােগ্রাফিকাল ইনষ্টিটিউট কর্তৃক ‘ডিস্টিংগুইষ্ট লিডারশিপ এওয়ার্ড’ প্রাপ্তি এবং ওয়ার্লড এসােসিয়েশন অফ ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন কর্তৃক ‘হিপােক্রেটাস গােল্ড মেডেল প্রাপ্তি তার জীবনের অন্যতম পাওয়া মারকুইজ হু ইজ হু ইনদি ওয়ার্ল্ড বইতে। ডাঃ ইকবালের পূর্ণজীবনী ছাপা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে ডাঃ ইকবালকে ‘শ্রীজ্ঞান অতিশ দীপংকর স্বর্ণপদক’ এবং ১৯৯৯ সনে ‘অগ্নিসেনা পদক’ প্রদান করা হয়। তিনি বেশ কয়েকটি বইয়ের লেখক ডাঃ ইকবাল কয়েকটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি একজন পরিবেশবিদ পরিবেশ দূষণ রােধে তিনি বিভিন্ন ফোরামে ব্যাপকভাবে কাজ করে চলেছেন। সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি একজন সফল লায়ন।