"টাকার গন্ধ" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: এক টুকরা কাগজ—টাকা, পাউন্ড, ডলার ইত্যাদি। টাকার রয়েছে ক্রয়ক্ষমতা। কিন্তু নিজস্ব কোনাে মূল্য নেই। এক সময় ছিল। যখন টাকা ছিল সােনা ও রুপার। টাকা যখন কাগজ দিয়ে তৈরি হলাে, তখন তাতে গন্ধ লাগলাে। টাকা হলাে সম্রাজ্যবাদের হাতিয়ার। ফলে বিনা যুদ্ধে বিশ্ব জয় হলাে। সময়ের ব্যাপ্ত পরিসরে বিবর্তনের ধারায় কাগজের টাকা আজ বিলুপ্তির পথে। বিশ্ব মন্দা থেকে তা বুঝা যায়। হয়তাে ফিরে যেতে হবে আবার সেই পণ্য বা পণ্যভিত্তিক মুদ্রায়। কিন্তু সে তাে পরের কথা। এখন মন্দার ফলে টাকার কষ্ট বাড়ছে বিশ্বব্যাপী। তাই কাঁদে টাকা কাঁদে মানুষ। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনী দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসে কোনাে কার্যকর সমাধান বের করতে পারেননি। এমতাবস্থায় আমাদের করণীয় কি? জানতে হবে। জেনে বুঝে নিজেকে বদলাতে হবে। বাজার—অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাতে হবে। মধুর চেয়ে মিষ্টি যে টাকা তার আবার গন্ধ কি? টাকা মানেই তাে ক্ষমতা। কিন্তু টাকা দিয়ে সবকিছু করা যায় না। যেমন—টাকা দিয়ে বালিশ কেনা যায়; ঘুম কেনা যায় না। টাকা কারাে জন্য সম্পদ; কারাে জন্য বিপদ। দুনিয়া জুড়ে এখন যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে তাও এই টাকার জন্য। তাই তাে টাকার এত গন্ধ এবং কষ্ট। টাকার কষ্ট দূর করে জীবনকে সুখী করতে এ বই আপনাকে সাহায্য করবে।
ড. মাহমুদ আহমদ ১৯৬০ সালে লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে প্রথম শ্রেণিতে মাস্টার্স ডিগ্রি প্রাপ্ত হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইরানে ব্যাংকিং প্রশিক্ষণ লাভ করেন। তিনি সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থায় ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্ট ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এ দশ বছর ফ্যাকাল্টি মেম্বার ছিলেন। বর্তমানে একটি প্রাইভেট ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি দেশে বিদেশে অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিষয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি আইডিবি’র আমন্ত্রণে মিশর, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, ব্রুনাই দারুস্সালাম, আবুধাবী, দুবাই ও সৌদি আরব ভ্রমণ করেন। তিনি বাংলাদেশ ইসলামি ক্ষুদ্র ঋণের আইডিবি কনসালট্যান্ট। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থ্যট (বিআইআইটি) ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির আজীবন সদস্য এবং অন্যান্য দেশী-বিদেশী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। লাহোর স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে প্রকাশিত ‘দি লাহোর জার্নাল অব ইকোনমিক্স’-এর সম্পাদকীয় উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য। দেশী-বিদেশী প্রফেশনাল জার্নালে তাঁর তেইশটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।