বর্ণমালা আমাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আবেগের রূপরেখা অঙ্কনে বর্ণমালার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্ণমালার সমš^য়ে প্রকাশ পেয়েছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের নানাদিক। হাজার বছরের পুরাতন ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-সাহিত্যসহ নানা বিষয়ের বিবর্তনকে ধরে রাখার জন্য বর্ণ প্রধান সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। সভ্যতার ধাপে ধাপে মানুষ সৃষ্টি করেছে গুহালিপি, গ্রন্থলিপি, দÊলিপি, ভাবলিপি ও প্রমাণলিপি। বাংলা বর্ণ ব্যবহৃত হয়- বাংলা, মণিপুরি, ককবরক ও অসমিয়া ভাষায়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বাংলা ভাষা ও বর্ণের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে। এ গ্রন্থে ধ্বনি ও বর্ণের গঠন, প্রয়োগ ও ব্যবহারবিধি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা সকল শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজন। তবে মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে বিশেষভাবে গুরুত্ব বহন করবে বলে আমার বিশ্বাস। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সব ধরনের পাঠককে জানাতে সাহায্য করবে। এ গ্রন্থে লেখক তাঁর সৃজনশীলতার মাধ্যমে মহৎ শিল্পীর মতো আমাদের বাংলা বর্ণমালার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর শৈল্পিক বর্ণনায় মুগ্ধ হোক গোটা বাঙালি পাঠকসমাজ এ প্রত্যাশায়- বাবুল আক্তার ব্র্যাক কর্মকর্তা
হেলাল উদ্দিনের জন্ম ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে। পিতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক এবং মাতা হালিমা খাতুন গৃহিণী। তিন ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে ২০০০ সালে উচ্চমাধ্যমিক সমাপ্ত করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে তীব্র অনুরাগের ফলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) এম.ফিল গবেষণারত। তার গবেষণার বিষয় ‘ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন’। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন লালন থিয়েটার-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। এছাড়া সাহিত্য পত্রিকা সমালোচনা-র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কবিতা লিখে সাহিত্যে হাতেখড়ি হলেও বর্তমানে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেন। ২০১০ সালে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক-এর প্রকল্প এছঅখ-এর সহকারী গবেষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় জড়িত। স্ত্রী মেলিমা খাতুনকে নিয়ে তার সংসার।