‘বার্মা : জাতিগত সংঘাতের সাত দশক’ বইটিতে লেখা ফ্ল্যাপের কথাঃ একটি দেশ তার প্রতিবেশী পাল্টাতে পারে না । বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিবেশী বার্মা। কিন্তু বার্মার সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি সম্পর্কে সামান্যই জানে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে কক্সবাজার উপকূলে লাখ লাখ। রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢেউয়ের মুখে প্রথম ভালো করে বার্মার দিকে মনোযোগ পড়ে বাংলাদেশের। কিন্তু দেশটির জাতিগত সংঘাতের ধরন এবং তার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক তাৎপর্য নিয়ে এখানকার সমাজে গভীর কোনো বোঝাপড়া নেই। বার্মা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত এবং তার ঐতিহাসিক পরম্পরা না জানার কারণে বাংলাদেশ-বার্মা সম্পর্কও প্রত্যাশিত মাত্রায়। বিকশিত হয়নি। বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক সংস্থা, একাডেমি ও প্রচারমাধ্যমে বার্মা সম্পর্কে অস্পষ্টতার বিষয়টি নানানভাবে প্রতিনিয়ত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে গত দুই বছরে। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি বলছে বাংলাদেশের বার্মাচর্চা বাড়ানো জরুরি। সে লক্ষ্যেই এই প্রকাশনা। এই গ্রন্থে বার্মার রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসের চুম্বক ধারণাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। যা আগ্রহীদের বার্মা বিষয়ে অধিকতর অধ্যয়ন-অনুশীলনে আগ্রহ তৈরি করবে। একই সঙ্গে তা বহু জাতিসত্তায় বিভক্ত বার্মার সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণে বাংলাদেশিদের সঠিক রণকৌশল প্রণয়নেও সহায়ক হতে পারে। প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ।
আলতাফ পারভেজ সাংবাদিক ও গবেষক হিসেবে পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন এবং সামরিক জান্তা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়তার কারণে ডাকসুতে সদস্য নির্বাচিত হন। সাংবাদিকতা জীবনে প্রথম থেকে ‘কাউন্টার রিপোর্ট’ ধারণার চর্চা শুরু করেন এবং ১৯৯০ পরবর্তী শাসনামলে আনসার বিদ্রোহ ও কারা বিদ্রোহ নিয়ে সাড়া জাগানো কাজ করেছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১০- এর অধিক । ২০১৫ সালে তাঁর সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ ‘মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী’ ইতিহাসের পুনর্পাঠ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সাহিত্যে সবচেয়ে আলোচিত একটি গবেষণা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমানে প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ও রাজনীতি তাঁর আগ্রহের বিষয়।